Arrest

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস! গলসিতে ধৃত যুবক

পুলিশ জানিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে গলসি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে সাহেবের পরিচয় হয়। দু’জনের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা শুরু হয়। পরে দু’জনের মধ্যে ভাব-ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৫

— প্রতীকী চিত্র।

বিবাহিত পরিচয় গোপন করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাস ও তাঁর ২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সাহেব মণ্ডল। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার দুবরাজপুরে তাঁর বাড়ি। রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে রবিবারই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। টাকা উদ্ধার করতে ধৃতকে পাঁচদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে গলসি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে সাহেবের পরিচয় হয়। দু’জনের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা শুরু হয়। পরে দু’জনের মধ্যে ভাব-ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সাহেব। যুবতী তাঁর কথায় বিশ্বাস করেন। যুবতীর বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু হয় সাহেবের। তিনি নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দেন। বিয়ের টোপ দিয়ে যুবতীর সঙ্গে তিনি বেশ কয়েক বার সহবাসও করেন। যুবতীর আস্থা অর্জন করার পর বাড়ি করার জন্য যুবতীর কাছে টাকা চান অভিযুক্ত। গয়না বন্ধক দিয়ে ও ঋণ নিয়ে সাহেবকে ২ লক্ষ টাকা দেন ওই যুবতী। কিছু দিন আগে সাহেবের বাড়িঘর দেখতে দুবরাজপুরে যাওয়ার কথা মনস্থ করেন যুবতী। গত ১ জানুয়ারি গলসিতে আসেন সাহেব। যুবতীর উপর তিনি জুলুমবাজি করে বলে অভিযোগ। যুবতীকে দুবরাজপুরে না যাওয়ার জন্য তিনি চাপ দেন। এতে যুবতীর সন্দেহ বাড়ে। ৩ জানুয়ারি যুবতী দুবরাজপুরে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, সাহেব বিবাহিত। তাঁর তিন সন্তানও রয়েছে। তিনি যাওয়ার পর সাহেবের বাড়ির সামনে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। সেখান থেকে সাহেব পালিয়ে যান। ফিরে এসে যুবতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিন বিভাগে যুবতীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তাঁর বয়ানও নথিভুক্ত করানো হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন