বাংলাদেশ এ-কে হারিয়ে উল্লাস ভারত এ-র ক্রিকেটারদের। ছবি: টুইটার
ভাল শুরু করেও ম্যাচ জিততে পারল না বাংলাদেশ এ। ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত এ-র কাছে ৫১ রানে হারতে হল তাদের। বাংলাদেশ এ-কে হারিয়ে ফাইনালে উঠল ভারত। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান এ। অপর সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা এ-কে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান।
কলম্বোর মাঠে টসে জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক সইফ হাসান। আগের ম্যাচের শতরানকারী সাই সুদর্শন শুরুটা ভাল করেন। দ্রুত রান করছিলেন তিনি। কিন্তু ২১ রান করে হাসান সাকিবের বলে আউট হয়ে যান। অপর ওপেনার অভিষেক শর্মা ৩৪ রান করে আউট হন। ২০ ওভারের মধ্যে তিন উইকেট পড়ে যায় ভারতের।
ভারতের ইনিংসকে সামলান অধিনায়ক যশ ঢুল। অর্ধশতরান করেন তিনি। অধিনায়ক এক দিকে টিকে থাকলেও অন্য দিকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। তার ফলে জুটি হচ্ছিল না। শেষ দিকে মানব সুতার ২১ রান করেন। যশ ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি ভারত। পাঁচ বল আগে ২১১ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা।
২১২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল বাংলাদেশ। দলের দুই ওপেনার মহম্মদ নইম ও তানজিদ হাসান দ্রুত রান করছিলেন। মাত্র ১২ ওভারে ৭০ রান হয়ে যায়। ভারতের কোনও বোলারই তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ৩৮ রান করে মানবের বলে আউট হন নইম। অর্ধশতরান করেন তানজিদ। ৫১ রান করে নিশান্ত সিন্ধুর বলে তিনি আউট হন।
তানজিদ যখন আউট হন তখন ম্যাচ জিততে ৩৩ ওভারে ১১৭ রান দরকার বাংলাদেশের। হাতে তখনও আট উইকেট ছিল। কিন্তু সেখান থেকেই ধস নামল বাংলাদেশের ব্যাটিং। নিশান্ত ও মানবের স্পিনের সামনে দিশেহারা অবস্থা হল তাদের ব্যাটারদের। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকল। সেখান থেকে আর ম্যাচে ঘুরতে পারল না বাংলাদেশ। ৩৪.২ ওভারে ১৬০ রানে অল আউট হয়ে গেল তারা। তখনও ১৬ ওভারের বেশি খেলা বাকি থাকলেও উইকেট ধরে রাখতে পারল না বাংলাদেশ।
ভারতের বোলারদের মধ্যে নিশান্ত পাঁচটি ও মানব তিনটি উইকেট নেন। বাকি দুই উইকেট নেন যুবরাজসিংহ দোদিয়া ও অভিষেক শর্মা।