চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
ভারতের আপত্তিতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা করতে দেরি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে হবে প্রতিযোগিতা। ভারত তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে। এ বার ভারতের জন্যই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আরও এক সমস্যায় আইসিসি। প্রতিযোগিতার আগে প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে কারা খেলবে তা ঠিক করতে সমস্যা হচ্ছে।
ভারত যে হেতু তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে, তাই প্রস্তুতি ম্যাচও সেখানেই খেলবে তারা। ভারতের গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নিউ জ়িল্যান্ড। প্রস্তুতি ম্যাচে সাধারণত দু’টি আলাদা গ্রুপের দল খেলে। অর্থাৎ, ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি দেশ খেলবে। এই দলগুলি গ্রুপ পর্যায়ে তাদের সব ম্যাচ পাকিস্তানে খেলবে। তাই সে দেশেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চাইছে তারা। দুবাইয়ে যেতে চাইছে না। এখন দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার জন্য একটি দেশকে রাজি করাতে হবে আইসিসিকে।
শুধু রাজি করালেই হবে না, সেই দেশের ক্রিকেটারদের যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থাও করতে হবে। পাকিস্তান যে হেতু আয়োজক দেশ, তাই সব ব্যবস্থা তাদের করতে হবে। এমনিতেই দুবাইয়ে অন্তত চারটি ম্যাচ হবেই। এ বার প্রস্তুতি ম্যাচের জন্যও বাড়তি খরচ করতে পাকিস্তান রাজি হবে কি না সেই প্রশ্নও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলছে আইসিসি। প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য আফগানিস্তানকে রাজি করানো সবচেয়ে সহজ। যে হেতু তারা তাদের হোম ম্যাচ ভারতে খেলে তাই তারা রাজি হতে পারে। সেই বিষয়টিও খেয়াল রাখছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
দুবাই ছাড়া পাকিস্তানের লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা। অর্থাৎ, এই তিনটি মাঠেও প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। কিন্তু এখনও তিনটি মাঠ প্রস্তুত নয়। সংস্কারের কাজ চলছে। ২৫ জানুয়ারির মধ্যে মাঠ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে আইসিসি। যা পরিস্থিতি তাতে সময়ে কাজ শেষ হওয়া চ্যালেঞ্জ। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি দাবি করেছেন, সময়ের মধ্যে তিনটি মাঠই খেলার জন্য পুরো তৈরি হয়ে যাবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২৩ ফেব্রুয়ারি হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। যদি তারা সেমিফাইনালে না ওঠে তার পরেও একটি সেমিফাইনাল দুবাইয়েই হবে। ভারত ফাইনালে উঠলে সেটিও দুবাইয়ে হবে। তবে ভারত যদি ফাইনালে না ওঠে তা হলে ফাইনাল দুবাইয়ের বদলে লাহোরে হবে।