(বাঁ দিকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। (ডান দিকে) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। —ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ভারতে খেলতে আসার ভিসা পাননি। সেই সমস্যা নিয়ে এ বার ভারত-ইংল্যান্ড বাক্যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের দফতর থেকে নাম না করে বশিরের ঘটনা নিয়ে বক্তব্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সুনক ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
টেস্ট খেলতে ভারতে এসেছে ইংল্যান্ড দল। আবু ধাবি থেকে ভারতে এসেছে দল। টেস্ট শুরু বৃহস্পতিবার থেকে। কিন্তু দলের সঙ্গে আসতে পারেননি বশির। এর পরেই সুনকের সরকারের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, “আশা করব ভিসার ক্ষেত্রে সব ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে সমান ব্যবহার করবে ভারত। এর আগেও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের ভিসা পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তেমন কেউ ভারতে যাওয়ার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে সেটা জানানো হয়েছে।”
অসন্তুষ্ট ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকসও। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অধিনায়ক হিসাবে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়ে আমি হতাশ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আমরা দল ঘোষণা করেছি। এখন এসে বশির জানতে পারছে যে ও ভিসা না পাওয়ার কারণে ভারতে খেলতে আসতে পারবে না। ওর জন্য আমি হতাশ। এমন ঘটনা তৈরি হওয়াই অবাঞ্ছনীয়। আমি জানি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া কত কঠিন। বশিরের জন্য আমার খারাপ লাগছে। বুঝতে পারছি কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ও যাচ্ছে।”
স্টোকস জানিয়েছেন যে, বশির প্রথম নন। এর আগেও এমন ঘটেছে। ইংরেজ অধিনায়ক বলেন, “বশির প্রথম নন, যাঁকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক ক্রিকেটারকে এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে খেলেছি। আমার একটা জিনিসেই হতাশ লাগছে যে, বশিরকে দলে নিলাম আমরা কিন্তু ভিসা সমস্যায় ও আসতে পারল না। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে এমন হলে খারাপ লাগে। আমি খুবই হতাশ ওর জন্য।”
আবুধাবিতে প্রস্তুতি শিবির করে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলতে এসেছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে দেরি করেছিলেন বশির। সে জন্যই দলের বাকিদের সঙ্গে তিনি ভারতের ভিসা পাননি। বশিরের জন্ম ইংল্যান্ডের সারেতে হলেও তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। ইংল্যান্ড দলে রেহান আহমেদ রয়েছেন তিনিও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। কিন্তু বিশ্বকাপের সময় ভিসা নিয়েছিলেন তিনি। তাই এখন সমস্যা হয়নি তাঁর।