রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র
দেওধর ট্রফিতে ব্যাট হাতে নজর কাড়লেন রিঙ্কু সিংহ। কিন্তু তার পরেও মধ্যাঞ্চলকে জেতাতে পারলেন না তিনি। প্রথম ম্যাচে পূর্বাঞ্চলের কাছে ৬ উইকেটে হারতে হল মধ্যাঞ্চলকে। পূর্বাঞ্চলের হয়ে দাপট দেখিয়েছেন বাংলার দুই ক্রিকেটার শাহবাজ় আহমেদ ও আকাশ দীপ। অন্য দিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধে সহজে জয় পেয়েছে পশ্চিমাঞ্চল। ৯ উইকেটে জিতেছে তারা।
টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেন পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারি। তাঁর সিদ্ধান্ত ঠিক প্রমাণিত করেন দলের বোলারেরা। দুই পেসার মণিশঙ্কর মুরাসিংহ ও আকাশ দীপের দাপটে শুরু থেকেই রানের গতি কম ছিল। মধ্যাঞ্চলকে প্রথম ধাক্কা দেন শাহবাজ়। মাধব কৌশিককে ১৩ রানের মাথায় ফেরান তিনি। বেঙ্কটেশ আয়ার, যশ দুবেরা রান পাননি। মিডল অর্ডারের দলের হাল ধরেন রিঙ্কু। কর্ণ শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা।
৩২ রানের মাথায় আউট হন কর্ণ। অর্ধশতরান করেন রিঙ্কু। ৫৪ রানের মাথায় মুরাসিংহের বলে তিনি আউট হলে চাপে পড়ে যায় মধ্যাঞ্চল। সেখান থেকে বেরাতে পারেনি তারা। শেষের দিকে উইকেট তুলে নেন দুই পেসার মুরাসিংহ ও আকাশ দীপ। ২০৭ রানে অল আউট হয়ে যায় মধ্যাঞ্চল। পূর্বাঞ্চলের হয়ে মুরাসিংহ, আকাশ দীপ ও শাহবাজ় ৩টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন উৎকর্ষ সিংহ।
২০৮ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৯১ রান করে পূর্বাঞ্চল। উৎকর্ষের সঙ্গে শুরুটা ভাল করেন বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ৩৮ রান করে কর্ণের বলে আউট হন অভিমন্যু। মিডল অর্ডারে পর পর কয়েকটি উইকেট পড়লেও উৎকর্ষ টিকেছিলেন। লক্ষ্য বড় না হওয়ায় সমস্যা হয়নি। শতরান ফস্কান উৎকর্ষ। ৮৯ রান করে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৬.১ ওভারে ৪ উইকেটে জয়ের রান তুলে নেয় পূর্বাঞ্চল।
অন্য ম্যাচে পশ্চিমাঞ্চলের বোলারদের সামনে সমস্যায় পড়েন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যাটারেরা। দলের সাত জন ব্যাটার শুরুটা ভাল করেও বড় রান করতে পারেননি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। তার খেসারত দিতে হয় তাদের। ৪৭ ওভারে ২০৭ রানে অল আউট হয়ে যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল। মাত্র ২৫.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয় পশ্চিমাঞ্চল। দলের দুই ওপেনার হার্ভিক দেশাই ও প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল রান করেছেন। দু’জনেই শতরান করতে পারতেন। ৮৫ রান করে আউট দেশাই। ৬৯ বলে ৯৯ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক পাঞ্চাল। রাহুল ত্রিপাঠি অপরাজিত থাকেন ১৩ রানে।