প্যাট কামিন্স। —ফাইল চিত্র।
২০২৩ সালে দেশকে এক দিনের বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি। সেই বছরই জিতিয়েছেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আরও এক বার দলকে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছেন তিনি। বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ের পর অবশ্য বিশ্রাম নিয়েছেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান কামিন্স। তার পরে আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তাতে সংশয় দেখা দিয়েছে। গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন কামিন্স। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তিনি সুস্থ হতে পারবেন কি না তা নিশ্চিত নয়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি কামিন্সের চোটের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “কামিন্স পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য কয়েক দিন ছুটি নিয়েছিল। তার পরেই খবর পেয়েছি ওর গোড়ালিতে চোট লেগেছে। গোড়ালি ফুলে আছে। কয়েক দিন পরে স্ক্যান হবে। তার পরে চোট কতটা গুরুতর তা বোঝা যাবে।”
অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে কামিন্সকে রাখা হবে কি না তা নিয়ে এখনও কিছু পরিষ্কার করতে চাননি বেইলি। তিনি বলেন, “এখনই কিছু বলতে পারছি না। স্ক্যান হলে চোটের অবস্থা বুঝতে পারব। তার পরে আমরা ঠিক করতে পারব যে কামিন্স খেলতে পারবে কি না।” তবে মনে করা হচ্ছে যে কামিন্সকে রেখেই প্রাথমিক দল ঘোষণা করবে অস্ট্রেলিয়া।
কামিন্স যদি খেলতে না পারেন তা হলে দুর্বল হবে অস্ট্রেলিয়া। কারণ, শুধু অধিনায়ক নন, ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই গুরুত্বপূর্ণ তিনি। উপমহাদেশের উইকেটে ভাল বল করেন কামিন্স। আবার ব্যাট হাতেও নীচের দিকে রান করতে পারেন। এক দিনের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় দ্বিশতরানের সময় উল্টো দিকে সঙ্গ দিয়েছিলেন কামিন্স। নইলে হয়তো ম্যাক্সওয়েলের একার পক্ষেও অস্ট্রেলিয়াকে জেতানো সম্ভব হত না। এখন দেখার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে কামিন্স সুস্থ হতে পারেন কি না।