মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
গুজরাতের নাদিয়াদে চলছে ৬৮তম জাতীয় স্কুল গেমসের তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা। সেখানেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে সোনা জিতলেন বাংলার অনিমেষ রায়। তিনি ঝাড়গ্রামের বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী। অনিমেষের সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
এ বারের প্রতিযোগিতায় তিরন্দাজিতে ৪৮ জনের দল পাঠিয়েছে বাংলা। তার মধ্যে ২৩ জনই বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির। সেই দলেই ছিলেন অনিমেষ। রবিবার তিনি সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পেয়ে সোনা জেতেন। অনিমেষকে অভিনন্দন জানিয়ে মমতা সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “অনিমেষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। অনিমেষের মতো বাংলার প্রতিভাবান তরুণ-তরুণীদের খেলাধুলোর সুযোগ করে দিতে ঝাড়গ্রামের আর্চারি অ্যাকাডেমি-সহ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, সাঁতার ইত্যাদির জন্য মোট ৮টি অ্যাকাডেমি আমাদের সরকারই তৈরি করেছে। এটা আমার গর্ব। একদিন এই সব জায়গা থেকে ছেলেমেয়েরা অলিম্পিক্সে যাবে, দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে— এই প্রত্যাশা আমি রাখি।”
অরূপ লিখেছেন, “বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির ছাত্র অনিমেষ রায়ের এই সাফল্য প্রমাণ করে দেয় রাজ্য সরকার পরিচালিত এই অ্যাকাডেমি সঠিক লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ভবিষ্যতে এখান থেকে আরও অনেক ছাত্র-ছাত্রী বাংলা তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।”
কিছু দিন আগে রাজ্য গেমসেও দাপট দেখিয়েছিলেন বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থীরা। তারা চারটি সোনা, আটটি রুপো এবং ছ’টি ব্রোঞ্জ-সহ মোট ১৮টি পদক জিতেছিলেন। পাশাপাশি ছেলে ও মেয়ে দুই দলগত বিভাগেই বিজয়ী হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট ছিল আদিবাসী দিবস। সেই উপলক্ষেই ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই একটি জনসভায় মমতা বলেছিলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি ঝাড়গ্রামের আর্চারি অ্যাকাডেমি থেকে এক দিন আমাদের মেয়েরা অলিম্পিক্সে যাবে। তারা অলিম্পিক্স জয় করবে। সেই উদ্দেশেই কিন্তু এগুলো করা হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘২০ বছর আগে যখন অলিম্পিক্স হয়েছিল, আমি তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। তখন আমি পরিকল্পনা করেছিলাম আগামী ২০ বছরের। সমস্ত অ্যাকাডেমি করে প্লেয়ার তৈরি করা। এই আর্চারি অ্যাকাডেমিও তৈরি করেছি, যাতে ২০-২১ বছর বাদে ভারতীয় খেলোয়াড়েরা সম্মান অর্জন করতে পারে।’’