নন্দীগ্রামে আরও এক সমবায় নির্বাচনে জয়ী বিজেপি। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নন্দীগ্রামের কাণ্ডপসরা বাড়কাণ্ডপসরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভাবে ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। রবিবার এই সমবায়ের ১২টি আসনের নির্বাচনে ৮টিতে জয়ী হয়ে সমবায়টি নিজেদের দখলে রাখল পদ্মশিবির। অন্য দিকে, ৪টি আসনে জয়ী হল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বুথে জয়ী হয়েছেন দলের প্রার্থী। উল্লেখ্য, ভোটার কার্ডের তথ্য অনুযায়ী নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবাড় বুথ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। আর তাঁর বুথ এলাকাতেই জয়ী হওয়ার দাবি করেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের বক্তব্য, এই সমবায়ে যে চার জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন, তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন নন্দনায়েকবাড় বুথের দলীয় প্রার্থী অনিমেষ দাস। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, যে বুথের ভোটার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, সেখানে দলের প্রার্থীর জয় ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে স্থানীয় এলাকায় বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতাই প্রকট হচ্ছে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের তৃণমূল নেতা বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “এই প্রথম সমবায় সমিতির নির্বাচনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বুথ নন্দনায়েকবাড়ে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী অনিমেষ দাস জয়লাভ করেছেন। আরও এক বার প্রমাণিত হল, নন্দীগ্রামের মানুষ সময় এবং সুযোগ পেলে গণতান্ত্রিক ভাবে বিজেপিকে প্রত্যুত্তর দিতে পারেন।”
যদিও বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, “কাণ্ডপসরা বাড়কাণ্ডপসরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালকমণ্ডলীর ১২টি আসনে ভোট হয়েছিল। আজকের নির্বাচনে ৮টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছে। এটা শুভেন্দু অধিকারীর জয়।” তিনি আরও বলেন, “নন্দীগ্রামে সম্প্রতি ৮টি সমবায়ের নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে ৭টিতেই বিজেপি জয়লাভ করেছে।” মেঘনাদের দাবি, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে। এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আগামী দিনে নন্দীগ্রামের যে সমবায়গুলিতে নির্বাচন হবে, সেখানেও শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপি ভাল ফল করবে।”