রুটি দিয়ে হবে মুখরোচক তিন ধরনের রোল। ছবি: তরলা দলাল।
স্কুলের টিফিন বাক্সে রোজ নতুন কী খাবার দেওয়া যায়? তাই নিয়ে মাথায় হাত পড়ে যায় খুদের মায়েদের। প্রতি দিন পিৎজ়া, বার্গার কিংবা দোকান থেকে কেনা র্যাপ খাওয়া তো ভাল নয়। এক-আধটা দিন বাড়িতে তৈরি রুটি-তরকারি, চাউমিন দিতেই হয়। ব্যস, এমন সাধারণ খাবার দেখলেই তো খুদের মুখভার হয়ে যায়। তার চেয়ে বরং রুটি দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন খুদের পছন্দের তিন রকম রোল।
১) আলু ফ্রাঙ্কি রোল
প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ টক দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তার মধ্যে আধ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, ঝাল খেতে চাইলে সামান্য লঙ্কা গুঁড়ো (বদলে গোলমরিচও দেওয়া যেতে পারে), চাট মশলা, সামান্য একটু চিনি, ধনে পাতা কুচি, আদা কুচি, সামান্য নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে রাখুন।
অন্য একটি পাত্রে গাজর, পেঁয়াজ, সেদ্ধ করে রাখা আলু গ্রেট করে দিন। তার মধ্যে গোলমরিচ, ধনে, জিরে গুঁড়ো, আদা কুচি, চাট মশলা, নুন দিয়ে ভাল করে চটকে মেখে নিন। এ বার রুটির ভিতর পুর হিসাবে ভরে দেওয়ার জন্য গোল টিক্কি বা রোল আকারে গড়ে নিন।
এ বার রুটির গায়ে আগে দইয়ের মিশ্রণ দিয়ে তার উপর আলুর পুর ভরে, কায়দা করে মুড়ে নিন। টুথপিক গেঁথে দিলেই রোল তৈরি।
২) মাশরুম রোল
প্রথমে পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম এবং মাশরুম ভাল করে ধুয়ে একেবারে মিহি করে কুচিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে মাশরুম নিয়ে তার মধ্যে টক দই, গোলমরিচ, ধনে, জিরে, সামান্য গরমমশলা এবং নুন মাখিয়ে রেখে দিন।
কড়াইতে সামান্য তেল গরম করুন। তার মধ্যে দিয়ে দিন রসুন কুচি। একটু ভেজে নিয়ে দই মাখিয়ে রাখা মাশরুম দিয়ে দিন। অল্প আঁচে মিনিট দশেক নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ফেলুন। এ বার রুটির এক পিঠে মাখন মাখিয়ে নিন। তার মধ্যে মাশরুমের পুর ভরে নিন। এ বার রোলের মতো পাকিয়ে নিলেই মাশরুম রোল তৈরি।
৩) পনির রোল
একটি পাত্রে জল ঝরানো টক দই, আদা-রসুন বাটা, জোয়ান, ধনে, জিরে, আমচুর, নুন দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তার পর পনিরের টুকরোগুলোতে ওই মিশ্রণ মাখিয়ে রাখুন। অন্তত আধ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।
এ বার কড়াইতে সামান্য তেল ছড়িয়ে ম্যারিনেট করা পনির এবং ওই মিশ্রণ সমস্তটা ঢেলে দিন। বেশি নাড়াচাড়া করার প্রয়োজন নেই। ঢাকা দিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিলেই পুর তৈরি হয়ে যাবে। এ বার রুটির মধ্যে পনিরের পুর ভরে নিন। রুটি মুড়িয়ে টুথপিক গেঁথে নিলেই কাজ শেষ।