ইয়ামি গৌতম। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
পর্দায় তিনি যে কোনও ভূমিকায় সহজ। চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারেন। অথচ ইয়ামি গৌতম তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নতুন ভূমিকাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না এখনও। পাঁচ মাস হল মা হয়েছেন অভিনেত্রী। পুত্র বেদবিদকে নিয়ে এখনও দিনের অনেকটা সময় কেটে যায় তাঁর। তবু ইয়ামি বলছেন, ‘‘কারও কাছে যখন ওকে ‘আমার ছেলে’ বলে পরিচয় দিই তখন গায়ে কাঁটা দেয়। মা হওয়ার বিষয়টা মনে মনে জানা আর মুখে স্পষ্ট করে বলার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। মাঝেমাঝে আমার বিশ্বাসই হয় না আমি মা হয়ে গিয়েছি।’’ যদিও ইয়ামি বলেছেন, তাঁর জীবনটা যে বদলে গিয়েছে তা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করতে পারেন তিনি।
‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’ খ্যাত সিনেমার পরিচালক আদিত্য ধরকে ২০২১ সালে বিয়ে করেন ইয়ামি। গত মে মাসেই সন্তানের জন্মের খবর দিয়েছিলেন দু’জনে। ইয়ামি বলেছেন, ‘‘আমার মনে আছে হাসপাতাল থেকে যে দিন বাড়ি এলাম, সবাই বেদবিদকে দেখতে হুড়োহুড়ি করছিল। যে কোনও পরিবারেই যেমন হয় আর কি। আমি তখন গিয়ে আদিত্যের পাশে বসলাম। আমার মনে আছে আমি বলেছিলাম, ‘আমি জানি না কী ভাবে এর ব্যাখ্যা করব, কিন্তু এই মুহূর্তটার আগে আমার জীবনের আগের সব কিছু ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।’ আসলে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে আপনি শুধু একটি নতুন প্রাণের জন্ম দেন না। আপনার একটি নতুন সত্ত্বাকেও জন্ম দেন। একটুও বাড়িয়ে বলছি না বিশ্বাস করুন। সব কিছু বদলে যায়। মানসিক ভাবে, শারীরিক ভাবে, আবেগের দিক দিয়ে— সব ওই একটা মুহূর্তে বদলে যায়।’’
অভিনেত্রীদের বিয়ে, অন্তঃসত্ত্বা হওয়া, সন্তানের জন্ম দেওয়া সব কিছু নিয়েই হইচই হয়। অনেকেই জানতে চান, সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগের ন’মাসের সফর তাঁদের কেমন ছিল? ইয়ামিও সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তবে অভিনেত্রী বলেছেন, তিনি ওই ন’মাসে কারও পরামর্শ বা ইন্টারনেট থেকে যত না জেনেছেন, তার থেকে অনেক বেশি শিখেছেন নিজের সন্তানের কাছ থেকেই। কী ভাবে? অভিনেত্রী বলছেন, ‘‘ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হল মা। ভাগ্যিস এই দুনিয়ায় মায়েরা ছিল। মা হয়ে ওঠার ওই ন’মাস আমি প্রতি দিন কিছু না কিছু শিখেছি। কেউ আপনাকে পুরোপুরি শেখাতে পারবে না। সন্তানের সঙ্গে যত সময় কাটাবেন, তত সে-ই আপনাকে শেখাবে।’’ তবে একই সঙ্গে ইয়ামি জানিয়েছেন, ওই ন’মাস নিজের মায়ের কাছ থেকে তিনি যা যা শিখেছেন, তা-ও অমূল্য।
বেদবিদ এখন পাঁচ মাসের। ইয়ামি জানিয়েছেন, আদিত্যও সব সময় তাঁর পাশে থেকেছেন। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘‘ও একজন দারুণ বাবা। আর বেদবিদ ওকে দারুণ ভালবাসে। যে মুহূর্তে ও বাবাকে দেখতে পায়, ওর চোথে একটা অন্য রকম ঝিলিক খেলা করে যায়। আবার বাবাকে লজ্জাও পায়। কিন্তু কাছে এলে সব ছেড়েছুড়ে বাবার কোলে ঝাঁপায়।’’