নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ। ঝাড়খণ্ডে দু’টি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সভা সেরে ফিরছিলেন দিল্লিতে।
শুক্রবার ছিল আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী। এই দিনটি জনজাতি গৌরব দিবস হিসাবে উদ্যাপিত হয়। আগামী বুধবার ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যটিতে দু’টি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, প্রচার শেষে দেওঘর থেকে বিমানে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে বিমান ওড়েনি। আপাতত দেওঘর বিমানবন্দরেই বিমানটিকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কী কারণে যান্ত্রিক গোলযোগ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত দেওঘর বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করছেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে বিকল্প বিমান দেওঘরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সেই বিমানেই দিল্লি ফিরতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবারই দেওঘর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় কপ্টারে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল বা এটিসির তরফে কংগ্রেস নেতা কপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গোড্ডা থেকে অন্তত ১৫০ কিলোমিটার দূরে চাকাইতে মোদীর জনসভা ছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে বিধি ভেঙে রাহুলের কপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। দু’ঘণ্টা পরে পরে রাহুলের কপ্টারকে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।