ঘরের কোন কোন কাজে লাগাতে পারেন শুকনো ফুল। ছবি: ফ্রিপিক।
পুজোয় দেওয়া সব ফুল বাসি হলে বা শুকিয়ে গেলে ফেলে না দিয়ে তা কাজে লাগাতে পারেন নানা ভাবে। অনেক সময়ে উৎসব-অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে বাড়ি সাজান অনেকে। পর দিন সেই সব ফুলই বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। শুকনো ফুল বাইরে ফেললে তা পচে গিয়ে দূষণের কারণ হবে। তার চেয়ে ফুলের পুনর্ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন উপায়ে। অন্দরসাজের কাজে হোক বা রোজের ব্যবহারের নানা জিনিস বানানো—এর চমকে যাবেন।
বানিয়ে ফেলুন সার
ফুল শুকিয়ে গেলে বা বাসি ফুল থাকলে সেগুলি শুকনো করে চূর্ণ করে নিন। এই ফুল খুব ভাল মানের জৈব সার হবে। অনেক সময়ে বাসি ফুল তুলে তা প্লাস্টিকের প্যাকেটে জমিয়ে রাখা হয়। প্যাকেটসমেত সেই ফুল বাইরে ফেললে তা থেকে পরিবেশ দূষিত হবে। তার চেয়ে সার বানিয়ে নিলে আর রাসায়নিক দেওয়া সার কেনার প্রয়োজন হবে না।
প্রাকৃতিক সুগন্ধি
ফুলগুলি আগে শুকিয়ে নিন। পুরোপুরি শুকনো হয়ে গেলে ওই ফুলগুলির সঙ্গে ছোট এলাচ, লবঙ্গ, লেবুর খোসা মিশিয়ে দিন। এ বার সেটি একটি ঢাকা দেওয়া পাত্রে রেখে দিন। ১০-১২ দিন পর দেখবেন মিশ্রণটির আকার বদলে গিয়েছে। এতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে ঘরের এক কোণে রেখে দিন। গোটা ঘর সুগন্ধে ভরে যাবে।
ধূপ
শুকনো ফুল গুঁড়ো করে নিন। তাতে ভাল মানের কর্পূর মিশিয়ে দিন। মেশানোর আগে কর্পূরও গুঁড়ো করে নেবেন। এ বার তাতে সমান পরিমাণে কাঠের গুঁড়ো মেশান। কাঠের আসবাব বানানোর সময়ে যে কাঠের ধুলো বার হয় সেগুলি জোগাড় করতে পারেন। যদি এক কাপ শুকনো ফুলের চূর্ণ নেন, তা হলে তাতে এক কাপের মতোই কাঠের গুঁড়ো মেশাতে হবে। এ বার আলাদা পাত্রে নিয়ে তাতে চন্দনের গুঁড়ো, ঘি, এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিন। সেই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট নানা আকার গড়ে নিয়ে শুকিয়ে নিন ভাল করে। এগুলি ধূপের মতো ব্যবহার করতে পারেন।
প্রাকৃতিক রং
ফুল দিয়ে বানাতে পারেন প্রাকৃতিক রং। গোলাপ, গাঁদা বা জবা ফুল ভাল করে জলে ফোটালে খুব সুন্দর রং হবে। সেই রঙে সাদা কাপড় চুবিয়ে দেখতে পারেন। হালকা সুন্দর রং হয়ে যাবে। দোকান থেকে কেনা কৃত্রিম রং ব্যবহার না করে এই প্রাকৃতিক রং নানা কাজে ব্যবহার করতে পারেন।