—প্রতীকী চিত্র।
সন্ধ্যায় অফিসে চা খাওয়ার পর তেমন কিছু খাওয়া হয়নি। কাজ থেকে ফিরেই তাই রাতের ডিনার সেরে নিয়েছেন। টেবিলে পছন্দের বিরিয়ানি ছিল বলে পরিমাণের দিকে খুব বেশি তাকাতেও ইচ্ছা করেনি। প্রায় গোগ্রাসে সবটা সাবাড় করে ফেলেছেন। তার পর ফ্রিজ খুলে কী একটা করতে গিয়ে হঠাৎ সকালের রান্না করা কোনও একটি পদের দিকে চোখ পড়তেই টিফিন কৌটো খুলে বেশ খানিকটা মুখে পুরে দিলেন। এমন চোখের খিদে তো অনেকেরই থাকে। শরীরের জন্য ভাল নয় জেনেও এই অভ্যাসে লাগাম টানতে পারেন না। আবার অনেকেই শুধুমাত্র মন ভাল রাখতে একের পর এক খাবার খেয়ে চলেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন খিদে কিন্তু শরীরের জন্য কোনও দিক থেকেই ভাল নয়। চাইলেই এই ধরনের খিদে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
চোখের খিদে পাওয়ার পিছনে আসলে অনেকটা মানসিক এবং খানিকটা সামাজিক ফ্যাক্টর কাজ করে। যেমন ধরা যাক, অফিসে কারও জন্মদিন পালন করে কেক কাটা হয়েছে। সকলে খাওয়ার পরেও বেশ খানিকটা বেঁচে রয়েছে। কাজ শেষ করে চলে যাওয়ার সময়ে মনে হতেই পারে এত দাম দিয়ে কেনা কেকটা ফেলে দেবেন কেন? তাই সকলকে জিজ্ঞাসা করে সাড়া না মিলতেই বাকি কেকটুকু নিজেই খেয়ে ফেললেন। আবার, অনেক সময়ে খেতে ইচ্ছা না করলেও বন্ধু বা সহকর্মীর অনুরোধ রাখতে একপেট খাবার খাওয়ার পরেও চপ-মুড়ি খেতে হয়।
খাওয়ার সময় হলে বা সত্যিই খিদে পেলে শরীর হরমোনের সাহায্যে মস্তিষ্কে সঙ্কেত পাঠায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, চোখের খিদের জন্য কোনও সঙ্কেত প্রয়োজন হয় না। দেখলেই খাওয়ার ইচ্ছাকে প্রশয় দিলে এই ধরনের অভ্যাস বাড়তে থাকে। ফলে চড়চড় করে ওজন তো বাড়েই। না চাইতেই ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। এই চোখের খিদে কিন্তু ক্যানসারেরও কারণ।
চোখের খিদে ঠেকাবেন কী করে?
১) নিজের খিদে সম্পর্কে স্পষ্ট হতে হবে। কোনটা আসলে খিদে আর কোনটা চোখের খিদে তা বুঝতে হবে নিজেকেই।
২) প্রতি দিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সেই সময় ধরে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
৩) বার বার খিদে পেলে এমন খাবার সঙ্গে রাখুন, যেগুলি স্বাস্থ্যকর। হাতের সামনে তেমন কিছু না পেলে বেশি করে জল খান।