বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
১০১টি স্কুল। কয়েকশো ছাত্রছাত্রী। যাচাই পর্ব। একটির পর একটি ধাপ। মগজের লড়াই। তিন মাসের দীর্ঘ পরিশ্রম শেষে বুধবার সন্ধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনের উদ্যোগে আয়োজিত এবং ‘ইআইআইএলএম কলকাতা’ নিবেদিত ‘শব্দ-জব্দ, শব্দের লড়াইয়ে সেরা স্কুলের খোঁজ’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পাওয়া গেল তিন বিজয়ী স্কুলকে। প্রথম স্থান অধিকার করেছে ‘লায়ন্স ক্যালকাটা গ্রেটার বিদ্যামন্দির’। দ্বিতীয় স্থানে বারাসত ‘প্যারীচরণ সরকার গভর্নমেন্ট স্কুল’। তৃতীয় হয়েছে ‘সেন্ট অগস্টিন্স ডে স্কুল’। চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী আরও দুই স্কুল হল ‘দিল্লি পাবলিক স্কুল, হাওড়া’ এবং ‘যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল’। এই প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল উত্তম মঞ্চে। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
চলতি বছরের অগস্ট মাসে আনন্দবাজার অনলাইনের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল শব্দের লড়াইয়ে সেরা স্কুলের খোঁজ। প্রথম ধাপে মেধার ভিত্তিতে রাজ্যের ১০১টি স্কুল বেছে নেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্বে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই একটি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই শুধু মাত্র এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হয়েছিল প্রথম পাঁচ জনকে। বিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেই পাঁচ জনের মধ্যে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণি থেকে দু’জন এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি থেকে এক জন শিক্ষার্থীকে বেছে নিয়ে একটি দল তৈরি করা হয়। যারা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে।
চূড়ান্ত পর্যায়ের আগে বিভিন্ন ধাপে যাচাই করে প্রথমে বেছে নেওয়া হয় আশিটি স্কুল, তার পর কুড়িটি এবং শেষে পাঁচটি। এই পাঁচটি স্কুলের মধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা হয়েছে। তাতেই উঠে এসেছে বিজয়ী তিন স্কুলের নাম। প্রত্যেক বিজয়ী স্কুলের প্রতিনিধির হাতে পুরস্কার হিসাবে তুলে দেওয়া হয়েছে স্মারক, বই এবং শংসাপত্র। এ ছাড়া প্রতিটি স্তরে অংশ নেওয়া সকল পড়ুয়াকেও শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। শব্দ-জব্দ আসলে মগজের মারপ্যাঁচের খেলা। ক্যুইজের আদলে বাংলা শব্দ নিয়ে চর্চা। মগজাস্ত্রের লড়াই। পড়ুয়াদের বাংলা ভাষার ভিত আরও শক্ত করতেই মূলত এই উদ্যোগ। এই খেলা আড্ডার ছলে সুচারু ও সুনিপুণ করে তুলতে পারে বাঙালির ভাষা চর্চাকে।