টাকার আসল মালিক কে? ছবি: সংগৃহীত।
আর্থিক প্রতারণার যুগে ফোনে ব্যাঙ্ক থেকে হঠাৎ টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ ঢুকলেই বুকের মধ্যে ধড়ফড় করে ওঠে। ব্যাঙ্ক থেকে পাঠানো মেসেজ দেখেও প্রায় আকাশ থেকে পড়েছিলেন লাস ভেগাসের বাসিন্দা এপ্রিলি ফ্র্যাঙ্কস। তবে সেটা টাকা কেটে নেওয়ার খবর ছিল না। বরং কয়েক লক্ষ টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে চলে আসায় ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
এপ্রিলি পেশায় এক জন ব্যবসায়ী। ছোটখাটো একটি ব্যবসা আছে তাঁর। এক দিন নিজের অফিসে বসে ফোন ঘাঁটছিলেন। ব্যাঙ্কের মেসেজটি তখনই তাঁর মোবাইলে ঢোকে। টাকার অঙ্ক দেখে প্রায় আকাশ থেকে পড়েছিলেন এপ্রিলি। ৪১ লক্ষ টাকা তাঁকে কে দেবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। তবে এপ্রিলির মনে হয়েছিল, কেউ ভুল করেই টাকাটা তাঁর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, ঘটনাটি ভুলবশত ঘটেনি। এপ্রিলির অ্যাকাউন্টেই টাকাটি ঢুকেছে। কিন্তু তার পরেও ওই তরুণী বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবেই হজম করতে পারছিলেন না। কী ভাবে টাকা এল তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা নিয়ে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
কোনও খোঁজ না পাওয়ায় অবশেষে উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এপ্রিলি। উকিলও বিশেষ কিছু সুরাহা দিতে পারেননি। তবে তিনি পরামর্শ দেন, ৩০ দিন পর্যন্ত এই টাকায় হাত না দিতে। তার পরেও যদি কেউ টাকার ব্যাপারে যোগাযোগ না করেন, তা হলে এপ্রিলি নিজের টাকা ভেবে খরচ করতে পারেন।
মাসখানেক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টাকা নিয়ে এপ্রিলির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি কেউ। এপ্রিলি সমাজমাধ্যমে যথেষ্ট সক্রিয়। এমন অদ্ভুত ঘটনার কথা নিজেই একটি ভিডিয়ো করে জানান। তার পর আর অনেক দিন এই বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলেননি তিনি। বছর খানেক পরে এপ্রিলি জানান ওই টাকাটা এখন তারই হয়ে গিয়েছে। টাকাটি দিয়ে তিনি ২টি বাড়ি করেছেন। বাকি টাকা রেখে দিয়েছেন। টাকা খরচ করে ফেলেছেন ঠিকই। তবে এখনও তিনি টাকার রহস্য উদ্ঘাটন করতে চান।