শিঙাড়ার মধ্যে টিকটিকি! ছবি: সংগৃহীত।
বিকেলে কাজ থেকে ফেরে ভাজাভুজি খেতে ইচ্ছা করছিল। তাই বছর তেরোর ছেলেকে বাড়ির কাছের একটি মিষ্টির দোকানে পাঠিয়েছিলেন শিঙাড়া কিনে আনতে। সেই শিঙাড়া খেয়েই হাসপাতালে ভর্তি হতে হল উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সি মনোজ কুমারকে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে মনোজের কিশোরী মেয়েকেও।
মনোজ পেশায় একটি দোকানের কর্মচারী। সকালে কাজে বেরিয়ে যান। বাড়ি ফেরেন বিকেল পার করে। এক দিন একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এসছিলেন মনোজ। স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। প্রবল খিদেও পেয়েছিল। পাড়ার একটি মিষ্টির দোকান থেকে ছেলেকে শিঙাড়া কিনে আনতে পাঠিয়েছিলেন। ছেলে শিঙাড়া কিনে আনার পর আনন্দ করে সকলেই খেতে শুরু করেন। তত ক্ষণে মনোজের অর্ধেক শিঙাড়া খাওয়া হয়ে গিয়েছে। হঠাৎই মেয়ের চিৎকারে চমকে ওঠেন তিনি। মনোজ দেখেন মেয়ের হাতের শিঙাড়ার আলুর মধ্যে একটা মরা টিকটিকি পড়ে রয়েছে। বাবা-মেয়ের তত ক্ষণে অনেকটাই শিঙাড়া খাওয়া হয়ে গিয়েছে।
শিঙাড়া ফেলে দিলেও যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছিল। কিছু ক্ষণ পর থেকেই অসুস্থ বোধ করেন দু’জনে। প্রথমে মনোজের মেয়ে বমি করতে শুরু করেন। তার পর মনোজেরও বমি শুরু হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। জ্ঞান হারান দু’জনেই। তড়িঘড়ি বাবা-মেয়েকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মনোজের বিপদ কিছুটা কাটলেও তাঁর মেয়ের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।