Weird but True

সমুদ্রে নেমে শরীরে ঢুকল মাংসখেকো ব্যাক্টেরিয়া, পা কেটে বাদ দিতে হল তরুণীর

জেনিফারের সমাজমাধ্যম থেকে জানা যায়, বাহামায় ছুটি কাটাতে গিয়ে ওই কেটে যাওয়া পা নিয়েই সমুদ্রস্নানে নেমেছিলেন তিনি। আশঙ্কা, সে সময়েই মাংসখেকো কোনও একটি ব্যাক্টেরিয়া তার শরীরে ঢুকে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
বাহামা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ১২:৫৫
Image of Jennifer Barlow.

পা বাদ যাওয়ার আগে এবং পরে জেনিফার বার্লো। ছবি: সংগৃহীত।

পায়ে সামান্য কেটে যাওয়া থেকে এমনটা হতে পারে, তা বোধ হয় কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। আটলান্টার বাসিন্দা জেনিফার বার্লো ছুটি কাটাতে বাহামায় গিয়েছিলেন। সেখানেই কোনও ভাবে চোট লেগে পা কেটে যায় তাঁর। সেখান থেকেই ছড়ায় সংক্রমণ। পা ফুলে এমন অবস্থা হয় যে অস্ত্রোপচার করে তাঁর পা কেটে বাদ দিতে হয়। জেনিফারের সমাজমাধ্যম থেকে জানা যায়, বাহামায় ছুটি কাটাতে গিয়ে ওই কেটে যাওয়া পা নিয়েই সমুদ্রস্নানে নেমেছিলেন তিনি। আশঙ্কা, সেই সময়েই মাংসখেকো কোনও একটি ব্যাক্টেরিয়া তার শরীরে ঢুকে যায়।

Advertisement

জেনিফার একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “তিনটে পা একসঙ্গে রাখলে যে আকার ধারণ করে, তেমন বীভৎস অবস্থা হয়েছিল পায়ের। যন্ত্রণার চোটে চোখে অন্ধকার দেখছিলাম। এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা কোনও দিন কল্পনাও করতে পারিনি।” পায়ে সামান্য চোট লেগেছে ভেবে সাধারণ চিকিৎসা করিয়েছিলেন। হঠাৎ এক দিন বাড়িতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান জেনিফার। তখন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁরা জানান, সংক্রমণ থেকেই তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন। কারণ, ওই ব্যাক্টেরিয়ার জন্য রক্তের মধ্যে সংক্রমণ একটু একটু করে ছড়াতে শুরু করেছিল। ক্রমে তাঁর কিডনি, লিভার বিকল হতে শুরু করে। জেনিফারকে পরে ভেষ্টিলেশনেও দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের জলে নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া থাকতেই পারে। শরীরে উন্মুক্ত জায়গা দিয়ে তা সরাসরি ঢুকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।

জেনিফারের শরীরে ১২ বার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। প্রাণে বাঁচলেও সংক্রমণ যাতে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই জেনিফারের জখম হওয়া পা কেটে বাদ পর্যন্ত দিতে হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement