আপনার আধার তথ্য চুরি হয়েছে কি না বুঝবেন কী উপায়ে? —ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্কে টাকাপয়সার লেনদেন থেকে শুরু করে যে কোনও সরকারি পরিষেবা পেতে হলে আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। সরকার তো নির্দেশ দিয়েই দিয়েছে যে, মোবাইল নম্বর হোক, রেশন কার্ড বা প্যান কার্ড, সব কিছুর সঙ্গেই আধার সংযুক্তি থাকতে হবে। কিন্তু আপনার আধারের তথ্য বেহাত হয়ে গিয়েছে কি না তার খোঁজ রেখেছেন কি? আধার তথ্য চুরি হয়ে গেলে কিন্তু বড় বিপদ। এখন তো মোবাইলের জন্য নতুন সিম নিতে গেলেও আধার নম্বরের দরকার হয়। যদি অন্য কারও হাতে সেই তথ্য থাকে তা হলে আপনার নামেই সিম তুলে তা দিয়ে অপরাধমূলক কাজ করা অসম্ভব নয়। তা ছাড়া আপনার আধার তথ্যের সঙ্গে ভুয়ো মোবাইল নম্বর জুড়েও প্রতারণা করতে পারে।
আপনার আধার তথ্য বেহাত হয়েছে কি না বা কেউ আপনার আধার নম্বরের সঙ্গে ভুয়ো মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করেছে কি না, তা ধরার কিছু উপায় রয়েছে। ভারতের টেলিকম বিভাগ সম্প্রতি ‘টেলিকম অ্যানালিটিক্স ফর ফ্রড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনজ়িউমার প্রোটেকশন’ (টিএএফসিওপি) নামে একটি ব্যবস্থা চালু করেছে, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তাঁর আধারের সঙ্গে ক’টি মোবাইল নম্বর যুক্ত রয়েছে, তা জানতে পারবেন। জালিয়াতি রুখতেই ভারতের টেলিকম বিভাগের তরফে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যাচাই করার উপায় কী কী?
১) প্রথমে আধার নিয়ামক সংস্থা ‘ইউআইডিএআই’-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘আধার হিস্ট্রি’ অপশনে ক্লিক করুন। ১২ সংখ্যার আধার নম্বর টাইপ করলেই পর্দায় নিরাপত্তা কোড ভেসে উঠবে। সেটি লিখে ‘জেনারেট ওটিপি’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
২) এর পরে আধারের সঙ্গে সংযুক্ত করা মোবাইল নম্বর যাচাইয়ের জন্য একটি ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি নম্বরটি লিখুন। সেখানে দেখানো হবে, গত ৬ মাসে আপনার আধার নম্বর কখন ও কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে।
৩) আপনার আধারের সঙ্গে কোনও ভুয়ো মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করা হয়েছে কি না জানতে টিএএফসিওপি-র ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে যে মোবাইল নম্বরটি আপনি আধারের সঙ্গে যোগ করেছিলেন, সেটি লিখে ওটিপি পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন।
৪) এর পরই নথিভুক্ত থাকা মোবাইল নম্বরে ওয়েবসাইটের তরফে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। সেটি দেখে ওয়েবসাইটের চিহ্নিত করা নির্দিষ্ট বাক্সে লিখুন।এর পরেই একটি নতুন পাতা খুলবে এবং সেখানে দেখানো হবে, আপনার আধার কার্ডের সঙ্গে মোট ক’টি নম্বর যোগ করা রয়েছে। যদি দেখেন, ওই পাতায় এমন কোনও মোবাইল নম্বরের উল্লেখ রয়েছে, যা আপনার বা আপনার পরিবারের নয়, তা হলেই বিপদ। তখন অভিযোগ দায়ের করতে হবে। ওই পাতারই নীচে ‘রিপোর্ট’ লেখা জায়গায় যে মোবাইল নম্বর আপনার নয়, সেটির ব্যাপারে জানান। অভিযোগ জমা পড়লে ব্যবস্থা নেবে টেলিকম বিভাগ।