পাখিদেরও হিটস্ট্রোক হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
বৈশাখের এখন ঢের দেরি! এর মাঝেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও। এমন অবস্থা সপ্তাহখানেক চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। খুব প্রয়োজন না পড়লে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাইরে না বেরোতেই অনুরোধ করা হয়েছে। সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে জল, লস্যি, ঘোল, ছাঁচের মতো পানীয় খেতেও বলা হয়েছে। দিনের বেলা বাড়ির পোষ্য সারমেয়কেও বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছেন না অনেকে। কিন্তু বাড়ির বারান্দার এক কোণে কিংবা আংটা থেকে ঝুলতে থাকা খাঁচায় পোষা যে পাখি রয়েছে, তার কী হবে? পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, গরমে তীব্র দাবদাহ থেকে পাখিদেরও হিটস্ট্রোক হয়। তাদের শরীরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে। তাদের সুস্থ রাখতে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
১) এই গরমে রোদে সারা দিন জানলা কিংবা বারান্দায় পাখিকে ঝুলিয়ে রাখবেন না। বারান্দায় সরাসরি রোদ না পড়লেও গরম হলকা এসে তাদের গায়ে লাগবে। অতিরিক্ত গরমে তাদের শরীরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তাই সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
২) খাঁচার ভিতর খাওয়ার জন্য তো বটেই, সম্ভব হলে স্নানের জন্যেও বড় একটি পাত্রে জল ভরে রেখে দিন। রোজ সেই জল পাল্টে দিতে পারলে ভাল হয়।
৩) অন্যান্য সময় পাখিকে স্নান করিয়ে বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখতেই পারেন। কিন্তু গরম কালে তার প্রয়োজন নেই। সকাল ১০টা থেকে ৪টে পর্যন্ত ঘরের মধ্যে কোথাও রাখতে পারলেই ভাল হয়।
৪) পাখিরা কিন্তু স্নান করতে খুব ভালবাসে। গরমের তপ্ত দুপুরে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত পাখিদের স্নানের জন্য ছাদে বা বারান্দায় বড় জলের পাত্র রেখে দিতে পারেন। ছায়া রয়েছে, এমন জায়গায় রাখলে চট করে জল গরম হবে না।
৫) হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচাতে পোষা পাখিকে ঠান্ডা খাবার খেতে দিন। ফ্রিজে রাখা ফল, শাকপাতা তাদের খেতে দিতে পারেন। বেশি করে শসা, তরমুজ, ফুটি, জামরুল, পেয়ারার মতো ফলও খেতে দিতে পারেন।