ছবি: সংগৃহীত।
ঘরে-বাইরে অনেক দায়িত্ব। সকাল থেকে রাত উদয়াস্ত খাটছেন। তবু কোনও কাজেই যেন মন নেই। যন্ত্রের মতো কাজ করতে হবে বলেই করে যাচ্ছেন। তা করতে গিয়ে ছোটখাটো ভুল হয়ে যাচ্ছে। কোনও কাজেই মন বসাতে পারছেন না। বাড়ির কাজে ভুল হলে তবু চলে যায়। কিন্তু অফিসে তা হওয়ার নয়। তবে, ভুল তো কেউ ইচ্ছে করে করেন না। কাজের চাপে, পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কোনও কাজে মন দিতে না পারা আসলে এক ধরনের সমস্যাই। ব্যক্তিগত পরিসরে জটিলতা, দৈনন্দিন জীবনে নানা টানাপড়েন— মনোযোগ তলানিতে চলে যাওয়ার জন্য এই কারণগুলি যথেষ্ট। তবে মনোযোগ ফেরাতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি যোগাসনে।
১) সুখাসন:
ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। এ বার ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে বাঁ ঊরুর উপর এবং বাঁ পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে ডান ঊরুর উপর রাখুন। এর পর দুই হাঁটুর উপর দু’হাত টান টান করে রাখুন। এই অবস্থায় চোখ বন্ধ করে বসে স্বাভাবিক ছন্দে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ২ থেকে ৩ মিনিট পর্যন্ত এই অবস্থায় থাকতে পারেন।
২) বৃক্ষাসন
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। তার পর শরীরের ভারসাম্য রেখে ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতাটি বাঁ পায়ের ঊরুর উপর নিয়ে আসুন। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে সমান ভাবে মাথার উপর নিয়ে যান। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকুন। ধীরে ধীরে এ বার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। নিয়ম করে এই আসনটি করলে মনঃসংযোগ বাড়বে।
৩) ভুজঙ্গাসন:
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।
৪ ) পদ্মাসন:
বাঁ ঊরুর উপর ডান পা এবং ডান ঊরুর উপর বাঁ পা রেখে মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। এ বার দু’হাত সোজা করে হাঁটুর ওপর রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এই ভাবে বসা অভ্যাস করুন মিনিট পাঁচেক।
৫) বালাসন:
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার দুই হাত প্রসারিত করে পেট মুড়ে সামনের দিকে ঝুঁকে যান। বুক যেন ঊরু স্পর্শ করে। মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে রাখুন। শ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত এই আসনটি করলে সত্যিই উপকার পাবেন।