১৯৫৮ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ৪৭০টি ছায়াছবি দেখেছেন তিনি। ছবি: টুইটার।
সিনেমা দেখতে ভালবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু সিনেমায় যাপন করার মতো মানুষ মাত্র হাতে গোনা কয়েক জনই হয়। চলচ্চিত্র যাঁদের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এমনই এক সিনেমাপ্রেমীর কথা ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ব্যক্তি সারা জীবনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যতগুলি ছবি দেখেছেন, তার বিস্তারিত তথ্য নিজে হাতে লিখে রেখেছিলেন একটি ডায়েরিতে। ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত অন্তত পক্ষে ৪৭০টি ছায়াছবি দেখেছেন তিনি। সেই সব ছবির নাম, কোন দিন, কোন হলে গিয়ে সেই ছবি দেখেছেন তার বিস্তারিত তথ্য, কোন ভাষায় ছবিটি দেখেছিলেন তার নাম— সমস্ত তথ্য রয়েছে সেই ডায়েরিতে। শুধু তা-ই নয়, রয়েছে সিনেমা শুরুর সময় এবং টিকিটের দামও।
এত দিন বাদে সেই ডায়েরি এসে পড়েছে ওই ব্যক্তি নাতির হাতে। তিনিই তাঁর দাদুর অতি যত্নে রাখা এই ডায়েরির ছবি তুলে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন এবং লেখেন, “বহু যুগের কথা, যখন আমার দাদু হলে গিয়ে সিনেমা দেখতেন। নিজে হাতে লিখে রাখতেন তাঁর দেখা চলচ্চিত্রের বিস্তারিত তথ্য। হিচ্কক থেকে শুরু করে জেম্স বন্ড— কী নেই সেই তালিকায়!”
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাত্রই এক জন লিখেছেন, “এ তো অমূল্য এক সম্পদ।’’ আবার দ্বিতীয় জন লিখেছেন, “স্বর্ণযুগের ইতিহাস সন্ধান পেয়েছেন।” তবে এত বছর আগে ডায়েরির পাতায়, কালি দিয়ে হাতে লেখা এমন জিনিস, এত বছর পরও কী করে অক্ষত রইল, তা অবশ্য জানা যায়নি।
Long long ago, my grandfather has created his own version of Letterboxd to keep record of the movies he had watched. I’m awestruck by the fact that he’s watched Hitchcock and James Bond films in theatres. pic.twitter.com/uiVhk7RqOY
— A K (@iamakshy_06) February 25, 2023
খুঁজলে এমন উদাহরণ মিলবে আমাদের আশপাশেও। এমন অনেক সিনেমাপ্রেমী মানুষের খোঁজ রয়েছেন। আবার এমনও অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা সিনেমার টিকিট, ডাক টিকিট, বাস বা ট্রেনের টিকিট জমান। কিছু দিন আগেই নেটফ্লিক্সে পরিচালক আদিত্য চোপড়া বলছিলেন তাঁর ছেলেবেলার এমন একটি অভ্যাসের কথা। তিনিও সেই ছোট্টবেলা থেকে নিজের ডায়েরিতে লিখে রাখতেন তাঁর বাবা অর্থাৎ, যশ চোপড়া পরিচালিত সব ছবির নাম, মুক্তির তারিখ এবং সাল। সঙ্গে বক্স অফিস কালেকশনের হিসাবও।