জামাইষষ্ঠীর ভূরিভোজ সারতে যখন রেস্তরাঁই ভরসা। ছবি: হায়াত সেন্ট্রিক।
বাঙালির তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম হল জামাইষষ্ঠী। হাতে আর মাত্র একটা দিন। রাত পোহালেই ঘরে ঘরে চলবে জামাই আদরের পর্ব। জামাইষষ্ঠী মানে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে জামাইকে খাওয়ানো। এখন থেকেই অনেক বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। অনেক শাশুড়ি আবার এত প্রস্তুতির মধ্যে না গিয়ে জামাই আদর সারতে ভরসা রাখেন রেস্তরাঁর উপর। আপনারও কি তেমনই পরিকল্পনা? জেনে নিন, জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁর মেনুতে বিশেষ কী থাকছে।
বিরিয়ানি ক্যান্টিন: জামাই কি বিরিয়ানিপ্রেমী? তা হলে কিন্তু কিন্তু বিশেষ দিনের ভোজ সারতে ঘুরে আসতে পারেন ইএম বাইপাসের ধারে ‘দ্য বিরিয়ানি ক্যান্টিন’ থেকে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে রেস্তরাঁর মেনুতে থাকছে কলকাতা চিকেন বিরিয়ানি, পোটলম মটন বিরিয়ানি, হায়দরাবাদি মটন বিরিয়ানি, দহি কে শোলে, মুর্গ রোজ়ালি কবাব, গোস্ত সিগার কবাব এবং জাফরানি ফিরনির মতো বাহারি সব পদ।
হায়াত সেন্ট্রিক: জামাই আদরের জন্য এলাহি আয়োজন করতে চান? তা হলে কিন্তু দুপুর কিংবা রাতের ভোজটা সারতে পারেন বালিগঞ্জের ‘হায়াত সেন্ট্রিক’-এর ‘যাযাবর’ রেস্তরাঁয়। সেখানকার বিশেষ দিনের ভোজের মেনুতে থাকছে শা ফালে, পনির খুরচন, লোটাস স্টেম ঘস্সি, চিকেন পাতা-পোড়া, সাগ মিট। শেষপাতে থাকবে ছানা পোড়া, ঘেওয়র টার্ট, শাঁখ সন্দেশ।
দ্য ভোজ কোম্পানি: জামাইকে জমিয়ে বাঙালি কায়দায় ভূরিভোজ করাবেন? তা হলে কিন্তু সল্টলেকের দ্য ভোজ কোম্পানিতে এক বার ঢুঁ মারতে পারেন। ৮৯০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন জামাইয়ের স্পেশ্যাল থালি। এই রেস্তরাঁর ১৪৫০ টাকার থালিতেও রয়েছে রকমারি পদ। ইলিশ, ভেটকি, পাবদা, চিংড়ি, মটন— কী নেই সেই থালিতে! জামাইয়ের জন্য ফলাহারের ব্যবস্থাও রয়েছে।
আহারে বাঙালি: ৫০০ টাকার মধ্যেই জামাইকে থালা সাজিয়ে খাওয়াতে চাইলে চলে যেতে পারেন হাতিবাগানের ‘আহারে বাঙালি’ রেস্তরাঁয়। জামাইষষ্ঠী স্পেশাল থালিতে আপনি পেয়ে যাবেন ভাত, ডাল, শুক্তো, চিংড়ির মালাইকারি, মটন কষা, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি। এ ছাড়াও এই রেস্তরাঁর ডাব চিংড়ি, ধনেপাতা বাটা পাবদা, চিতল পেটির ঝালের মতো পদগুলিও চেখে দেখার মতো।
আমিনিয়া: জামাইকে বিরিয়ানি খাওয়াতে হলে ‘আমিনিয়া’য় এক বার ঢুঁ মারতেই পারেন। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে এই রেস্তরাঁয় বিভিন্ন রকমের স্পেশ্যাল প্ল্যাটারের আয়োজন করা হয়েছে। মটন প্ল্যাটার, চিকেন প্ল্যাটারের সঙ্গে পেয়ে যাবেন হায়দরাবাদি প্ল্যাটার ও লখনউ প্ল্যাটার। প্রতিটি প্ল্যাটারেই থাকবে রকমারি বিরিয়ানি, কবাব, পরোটা, চিকেন কিংবা মটনের পদ, মিষ্টি আর শরবত। বাড়িতে জামাইয়ের বরণ সেরে খাওয়াদাওয়াটা করতেই পারেন এখানে।
হোটেল হলিডে ইন: ‘হোটেল হলিডে ইন’-এর নিজস্ব রেস্তোরাঁ ‘সোশ্যাল কিচেন’-এ আয়োজন করা হয়েছে জামাইষষ্ঠী স্পেশ্যাল থালি। থালিতে থাকছে গন্ধরাজ দইয়ের ঘোল, কাঁচা আমের সরবত, পটল ভাজা, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, বেগুন সুন্দরী, লাল শাক, মাছের পাতুরি, পোস্ত পেঁয়াজের বড়া, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, ডাল রায়বাহাদুর, বাসন্তী পোলাও, সাদা ভাত, লুচি, কড়াইশুঁটির কচুরি, ছানার মহিমা, ধোকার ডালনা, সর্ষে পোস্ত পাবদা মাছ, ঠাকুরবাড়ির কষা মাংস, ধনেপাতা কাঁচালঙ্কা মুরগি, মিষ্টি দই, বেকড রসগোল্লা, আম সন্দেশ। জামাই বাঙালি খাবার খেতে ভালবাসলে এই ঠিকানায় দুপুরের ভোজটা সারতেই পারেন।
বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক: জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাতে পাঁচরকম মিষ্টি তো দিতেই হবে। জামাই একটু ফিউশন মিষ্টি পছন্দ করলে বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিকের জামাইষষ্ঠী স্পেশ্যাল মিষ্টিগুলি সাজিয়ে দিতে পারেন জামাইয়ের থালায়। ম্যাঙ্গো জিলাটো, ম্যাঙ্গো সরের রোল, ট্রেস লিচেস কেকের মতো বাহারি মিষ্টিগুলি জামাইয়ের মন জয় করবেই।
প্যাপরিকা গুরমে: জামাইকে সন্দেশ, রসগোল্লার বাইরে কিছু খাওয়াতে চাইলে এই দোকানের মিষ্টি কিনতেই পারেন। জামাইয়ের ভোজের থালায় রসমালাই ডিস্ক, ফিউশন লাড্ডু, সল্টেড ক্যারামেল মিনি পাই, চকোলেট বার্কের মতো মিষ্টি সাজিয়ে দিলে তাঁর স্বাদবদল হবেই হবে। সুইগি, জ়োম্যাটোতে আপনি এই মিষ্টিগুলি অর্ডার করতে পারেন।