বিয়ের পর থেকেই বদলে যায় সম্পর্কের সমীকরণ। প্রতীকী ছবি।
স্বামীকে খুশি করা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। স্বামীর মনে যাতে কখনও কোনও আঘাত না লাগে, সেদিকেই সদা সতর্ক থাকেন। এমনকি স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়েও অসুবিধা নেই। সম্প্রতি মনিকা হাল্ট নামে ৩৭ বছর বয়সি এক তরুণী সমাজমাধ্যমে এমনটাই দাবি করেছেন। মনিকা এবং তাঁর স্বামী ৩৯ বছর বয়সি জনের দাম্পত্যের বয়স ১০ বছর।
প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন। একে অপরকে অসম্ভব ভালবাসতেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায়। পরিবর্তনটা হয় জনের দিক থেকেই। জন অন্য মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মনিকা সবই জানেন। কিন্তু কিছু বলেন না। জন কষ্ট পেতে পারেন ভেবেই চুপ করে থাকেন তিনি।
মনিকা যে শুধু স্বামীর পরকীয়া প্রেমের সাক্ষী, তা নয়। এমন অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, যেখানে মাথা শান্ত রাখা সহজ নয়। কিন্তু তিনি সব পরিস্থিতিতেই অসম্ভব শান্ত থেকেছেন। এমনকি ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে মণিকা দেখেছেন, স্বামী অন্য মহিলার সঙ্গে যৌনতায় মত্ত। তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয়, তাই নিঃশব্দে বেরিয়ে এসেছেন ঘর থেকে।
মনিকা জানিয়েছেন, তাঁর এই স্বভাবের কারণে বন্ধুদের মধ্যে কোণঠাসা হতে হয়। তাঁদের মতে, মনিকা তাঁর মর্যাদা হারিয়ে ফেলছেন। ভালবাসা ভুল নয়। তাই বলে সঙ্গীর সব কিছু মেনে নিয়ে চলাও ঠিক নয়। তবে মনিকার কথায়, ‘‘জনের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। জন অন্য কারও সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হলেও তার প্রভাব আমাদের সম্পর্কে পড়ে না। ওইটুকু স্বাধীনতা জনের আছে।’’