Marriage

সাড়ে তিন ফুটের পাত্রী, পাত্র আরও কম, এ একেবারে রাজযোটক বলছেন রেণু আর শ্যাম

উচ্চতা কম বলে বিয়ে হচ্ছিল না দু’জনেরই। দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার শেষে প্রায় একে অপরকে খুঁজে পেলেন বিহারের রাণু এবং শ্যাম। কী ভাবে বিয়ে হল তাঁদের?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৯
Image of Couple.

দেরিতে হলেও ভগবানই মিলিয়ে দেন একে অপরকে। ছবি: সংগৃহীত।

পাত্রীর উচ্চতা সাড়ে তিন ফুট। পাত্র তিন ফুট। মালাবদল থেকে সাত পাক, সবই হল। উলু, শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হল বিবাহবাসর। বিয়ের নিয়মকানুন থেকে হইহুল্লোড় আর পাঁচটা বিয়ের মতো হলেও, বিহারের চাপড়া জেলার এই ঘটনা কোথাও গিয়ে খানিক আলাদা।

পাত্রী রেণুর জন্য অনেক বছর ধরেই পাত্র খুঁজছিলেন তাঁর পরিজনেরা। কিন্তু রেণুর উচ্চতা স্বাভাবিক তুলনায় অনেকটা কম হওয়ায় পাত্র খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছিল। চার ভাই আর দুই বোনের মধ্যে রেণু মেজো। বাকিদের সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। শুধু বাকি ছিলেন রেণু। বয়স হলেও বিয়ে না হওয়ায় তাঁকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

একই সমস্যা ছিল পাত্র ২৩ বছর বয়সি শ্যামের ক্ষেত্রেও। রেণুর চেয়েও তাঁর উচ্চতা আরও খানিক কম। সাত ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট তিনি। বাকিদের সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উচ্চতার কারণে শ্যামের জন্য কোনও মেয়ে পাচ্ছিলেন না তাঁর বাবা-মা। ছেলের আর কখনও বিয়ে হবে না ভেবে তাঁরা প্রায় হাল ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু কথায় বলে, কে কার জীবনসঙ্গী হবে, তা আগে থেকেই ঠিক হয়ে থাকে। দেরিতে হলেও ভগবানই মিলিয়ে দেন একে অপরকে। তেমনই যেন হল এ ক্ষেত্রে।

এক আত্মীয়ের মাধ্যমে রেণুর বাড়ির লোকজন শ্যামের কথা জানতে পারেন। নিজেরাই শ্যামের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। শ্যামের বাবা-মা যেন হাতে চাঁদ পান। কথাবার্তা হওয়ার দু’দিনের মাথায় বিয়ের আয়োজন করা হয়। দু’জন ভিন্ন জাতের হলেও তা নিয়ে আর মাথা ঘামাননি কেউই। বেশ জাঁকজমক করেই বিয়ে হয় দু’জনের। রাণু এবং শ্যাম দু’জনেই বলেছেন, ‘‘আমরা একে অপরের জন্যেই এত দিন অপেক্ষা করছিলাম। নিজেদের রাজযোটক বলে মনে হচ্ছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন