‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’-র সঙ্গে উঠে আসে উপহারের প্রসঙ্গও। ছবি: সংগৃহীত
শীতের আমেজ গায়ে মেখে সদ্য পার হয়েছে সরস্বতী পুজো। চার দিকে বসন্তের আমেজ। প্রেমিক-প্রেমিকার একে অপরের জন্য ভালবাসা প্রকাশের দিন আসন্ন। হাতে গুনে আর দু’-চারদিন। তারপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যে দিনটির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে বসে থাকে অসংখ্য যুগল।
‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’-র সঙ্গে উঠে আসে উপহারের প্রসঙ্গও। মনের কাছাকাছি থাকা মানুষটির জন্য ভালবাসার ছোঁয়াচ মাখানো উপহার চাই। যদিও ভালবাসার দিনে উপহার বিনিময়ের রীতি মূলত পাশ্চাত্য সংস্কৃতির একটি অঙ্গ। বিশ্বায়নের হাত ধরে যদি বিভিন্ন দেশের মধ্যে এই সংস্কৃতির আদানপ্রদান ঘটে, তাহলে মন্দ কী?
উপহার কি দিচ্ছেন সেটার থেকেও বড় জিনিস হল সেই উপহারটির মধ্যে যেন ভালবাসার মানুষটির প্রতি আপনার প্রেমের অনুচ্চার প্রকাশ থাকে।
গোলাপের তোড়া
ভালবাসার দিনে উপহার হিসাবে ফুলের বিকল্প নেই। আর তা যদি হয় রংবেরঙের গোলাপ। বিভিন্ন রঙের গোলাপ দিয়ে তৈরি করা ফুলের তোড়া এই বিশেষ দিনটি আরও রঙিন করে তুলব।
হাতে তৈরি গ্রিটিংস কার্ড
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের যুগে গ্রিটিংস কার্ডের চল আর নেই বললেই চলে। নতুন প্রজন্মের কাছে হয়ত গ্রিটিংস কার্ড বিষয়টিই খুব একটা পরিষ্কার নয়। তবু এই প্রেম দিবসে সেই পুরোনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে পারেন। দোকান থেকে কিনে দেওয়ার বদলে হাতে তৈরি করে দিতে পারেন। কার্ডে নিজের মানুষটিকে নিয়ে লেখা দু’-এক লাইন কবিতাও লিখে দিতে পারেন।
বই
মনের মানুষটি যদি বই পড়তে ভালবাসেন তবে চোখ বন্ধ করে তাঁর পছন্দের লেখকের বই উপহার হিসাবে তাঁর হাতে তুলে দিতে পারেন। খুশি হবে।
চকোলেট
চকোলেট খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ বোধহয় কম আছেন। আর সে চকোলেট যদি আসে প্রিয়জনের কাছ থেকে, তাহলে তো চকোলেটের স্বাদ আরও দু’গুণ মিষ্টি হয়ে যায়।
নিজে হাতে রান্না করে খাওয়ান
সম্পর্ক যে কয়েক দিনেরই হোক মনের মানুষটিকে একদিনও নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ানোর সুযোগ হয়নি? তাহলে এই প্রেম দিবসে নিজের হাতে তাঁর পছন্দ মতো রান্না করে খাওয়াতে পারেন। কেক বানাতে চাইলে তাও বানাতে পারেন। দু’জনের একান্তে ভালবাসা উদ্যাপন করুন সেই কেক কেটে। পার্থিব জিনিসপত্রের দেওয়া নেওয়ার জন্য তো সারাজীবন রইল। প্রেমের এই বিশেষ দিনে আপনার উপহারে থাকুক আন্তরিকতা ও ভালবাসার ছোঁয়া।