—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের ধীবরদের উপরে অত্যাচারের অভিযোগে মুখর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই অভিযোগ করেছিলেন পড়শি দেশ থেকে মুক্তি পেয়ে রাজ্যে ফিরে আসা ওই ধীবরেরাও। এই আবহে মমতার নাম না-করেও বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে অত্যাচারের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। তবে তাতে আমল দেয়নি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
বাংলাদেশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, ‘আটক ভারতীয় ধীবরদের উপরে দুর্ব্যবহার, মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ধরনের অভিযোগ, দু’দেশের মধ্যে বিশ্বাস, সদিচ্ছা ও শ্রদ্ধাবোধকে ক্ষুণ্ণ করে।’ তাদের আরও দাবি, ওই ধীবরেরা বাংলাদেশে থাকার সময়ে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ঢাকার ভারতীয় হাই-কমিশনের প্রতিনিধিরাও। এমনকি, ডাক্তারি পরীক্ষাতেও দেখা গিয়েছিল ওই ধীবরেরা সম্পূর্ণ সুস্থ।
প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগরে গিয়ে মুক্তি পাওয়া রাজ্যের ধীবরদের স্বাগত জানিয়েছিলেন মমতা। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেছিলেন বাংলাদেশে লাঠি দিয়ে মারধর, হাত বেঁধে রাখার মতো ঘটনার জেরে ওই ধীবরদের কোমর থেকে পা পর্যন্ত চোট রয়েছে। এই সূত্র ধরেই এ দিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, “যাঁরা অত্যাচারিত, নির্যাতিত, তাঁরাই এসে বলেছেন। এটা কী ভাবে মিথ্যা হবে? আর বাংলাদেশের এই ভাবে হেনস্থা করার পুরনো দৃষ্টান্তও রয়েছে।”