পোষা কুকুরকে কোন কোন ফল খাওয়াতে পারেন? ছবি: ফ্রিপিক।
বাড়িতে পোষা কুকুর থাকলে তার খাওয়াদাওয়া নিয়ে চিন্তা থাকেই। অনেকেই ভাবেন, সুষম আহারের জন্য পোষ্যকে কী কী খাওয়াবেন। কারণ সব খাবার কুকুরের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। বাড়িতে আপনি যা যা খাচ্ছেন, তা পোষ্যকে খাওয়ালে চলবে না। বরং ওদের জন্য ডায়েট আলাদাই হবে। অনেকেই ভাবেন, প্যাকেটের খাবার খাওয়াবেন নাকি বাড়িতে তৈরি খাবার। ফল কি খাওয়ানো যাবে কুকুরকে?
পোষ্যের ডায়েট কেমন হবে সে নিয়ে সবসময়েই পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই বিষয়ে পশু চিকিৎসক চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তীর মত, ফল খাওয়ানো যেতেই পারে পোষ্যকে, তবে সব ফল নয়। আম, কলা, আপেলের মতো ফল কুকুরকে দেওয়া যেত পারে। তবে গোড়াতেই খুব অল্প পরিমাণে দিয়ে দেখতে হবে, কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কি না। যদি অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা না দেয় বা পেটের সমস্যা না হয়, তা হলে ফল খাওয়াতে পারেন। ফলের ভিটামিন ও ফাইবার ওদের শরীরের জন্য খুবই ভাল।
কোন কোন ফল খাওয়ানো যেতে পারে?
আপেল কুকুরদের জন্য খুবই ভাল। এতে ভিটামিন এ ও সি আছে, যা কুকুরের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আপেল ওদের দাঁতও ভাল রাখে। তবে আপেল থেঁতো করে সেদ্ধ করে খাওয়াতে পারেন।
ব্লুবেরিও খুব উপকারী। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন এ, কে ও সি কুকুরদের হজমশক্তি ভাল করে, দৃষ্টি উন্নত করে। শীতের সময়ে কুকুরদের নানা সংক্রমণ জনিত রোগ হয়। ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দেয়। সেইসব থেকে বাঁচতে ব্লুবেরি খাওয়াতে পারেন।
তরমুজও কুকুরদের জন্য উপকারী। এই ফলেজলের ভাগ বেশি যা ওদের শরীরকে আর্দ্র ও সতেজ রাখতে পারে। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে তরমুজে। তা ছাড়া ভিটামিন এ, বি৬ ও সি আছে যা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
কলাও খাওয়ানো যেতে পারে কুকুরকে। তবে তা চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করেই খাওয়াতে হবে। কলাতে শর্করার মাত্রা বেশি। যদি কুকুরের ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা থাকে, তা হলে একেবারেই বাদ দিতে হবে।
যে ফলগুলি একেবারেই খাবেন না তার মধ্যে রয়েছে চেরি, আঙুর ও কিসমিস। এইসব ফলে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা কুকুরের কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে। তা ছাড়া বাদাম, অ্যাভোকাডোও কুকুরকে খাওয়াবে না। টম্যাটো, পেঁয়াজ বা রসুন ভুল করেও পোষ্যের খাবারে দেবেন না।