Abhishek Bachchan’s Parenting Strategy

প্রজন্মের ব্যবধান বুঝতে না পারলে সন্তানকে বড় করা কঠিন! বাবা হিসাবে উপলব্ধি অভিষেকের

অভিষেক বচ্চন নিজে যে পরম্পরা আর অনুশাসনে বড় হয়েছেন, সেই পন্থা কন্যাকে বড় করার ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে লাগবে না বলেই মনে করেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৫০
Abhishek Bachchan

অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

বাবা অমিতাভ বচ্চন এবং মা জয়া বচ্চন।

Advertisement

দু’জনেই বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা। আর পাঁচটা শিশুর চেয়ে অভিষেক বচ্চনের জীবন যে অন্য রকম হবে, সে আর নতুন কী? মা-বাবার দেখানো পথ অনুসরণ করেছেন বেশির ভাগ সময়ে। তাঁদের কাছে যে শিক্ষা পেয়ে অভিষেক বড় হয়েছেন, তা জীবনে চলার পথ অনেক মসৃণ করেছে বলে দাবি অভিষেকের।

সময় বদলেছে। অভিষেক এখন এক কন্যার বাবা। মেয়ে আরাধ্যাকে বড় করতে গিয়েও নানা সময়ে নানা রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে জুনিয়র বচ্চনকে। তবে নিজে যে পরম্পরা আর অনুশাসনের মধ্যে বড় হয়েছেন, সেই পন্থা কন্যাকে বড় করার ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে লাগবে না বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিভাবকত্ব প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “মা-বাবার অনুশাসন, নিজের বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা নয়, সন্তানকে সঠিক ভাবে মানুষ করতে গেলে প্রজন্মের ব্যবধান সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।”

অনেকেই হয়তো মনে করেন যে, মা-বাবার চেয়ে বড় শিক্ষক আর কেউ নেই। তবে অভিষেক সেটা মনে করেন না। তাঁর কথায়, ‘‘সন্তানকে মানুষ করতে কখনও কখনও কঠোর হতে হয়। কিন্তু বাবা-মায়েরা সব সময়ে ততটা কঠিন হতে পারেন না। মাঝে আবেগ, অনুভূতি অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। অভিভাবকেরা কখনও চান না সন্তানের চলার পথে কোনও রকম বাধা-বিঘ্ন আসুক। কিন্তু জীবন থেকে শিক্ষা নিতে গেলে সব রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া জরুরি।”

মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের মানসিক দূরত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এত পরিবর্তন দেখছে, যা সত্তর, আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকেও ছিল না। কিন্তু এখন যুগ অনেকটা বদলে গিয়েছে। তাদের নিজস্ব মতামত তৈরি হয়েছে। বিচারবোধ অনেক স্পষ্ট। বাবা-মায়ের আদেশ চোখবন্ধ করে পালন না করে নিজের বুদ্ধি দিয়ে তা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও তৈরি হয়েছে তাদের। মা-বাবার চেয়েও এখন তাদের কাছে বেশি ভরসাযোগ্য ‘গুগ্‌ল’।

তবে অভিষেক জানিয়েছেন, ভাল অভিভাবক হয়ে উঠতে অনেকটা সাহায্য করেছে ভাগ্নি নব্যা নভেলি নন্দা এবং ভাগ্নে অগস্ত্য নন্দা। চোখের সামনে দিদি শ্বেতার ছেলেমেয়েদের বড় হতে দেখেছেন তিনি। আরাধ্যার বয়সি না হলেও নব্যা এবং অগস্ত্যরা তরুণ প্রজন্মের দিশারি। তারা অনেক বেশি আত্মনির্ভর।

Advertisement
আরও পড়ুন