ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ির সামনে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর গা়ড়ির সামনে আইইডি (ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) পেতে রেখেছিলেন মাওবাদীরা। তবে গাড়িটির থেকে কিছুটা দূরেই ফেটে যায় বিস্ফোরকটি। রবিবার বিকালের ওই বিস্ফোরণে নিরাপত্তা বাহিনীর দু’জন জওয়ান জখম হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, তাঁদের চোট গুরুতর নয়। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের বিজাপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ় পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স রবিবার বিজাপুরে একটি মাওবাদীদমন অভিযানে নেমেছিল। সেখান থেকে ফেরার পথেই মাড্ডেড থানা এলাকায় গোরলা নদীর কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ির সামনে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, আইইডি দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষেছিলেন মাওবাদীরা। যদিও বিস্ফোরণে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। গাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই বিস্ফোরণটি হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের অভিঘাতে দু’জন জখম হয়েছেন। ওই বিস্ফোরণের পরে এলাকায় মাওবাদীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
চলতি মাসের শুরুতেই ছত্তীসগঢ়ের রায়পুর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ছোটেডোঙ্গার থানা এলাকার পাহাড়-জঙ্গলঘেরা আমদাই ঘাটি লৌহখনিতে আইইডি পেতে রেখেছিলেন মাওবাদীরা। ওই মাওবাদী হানায় এক খনিশ্রমিকের মৃত্যু হয়। তার আগে গত মাসে বিজাপুর-দন্তেওয়াড়ার সীমানায় মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে নিরাপত্তাবাহিনীর তিন জওয়ান গুরুতর জখম হন। গত ৩ জানুয়ারি থেকে ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু হয়েছে। নরায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, বিজাপুর, জগদলপুর, কোন্ডাগাঁও-সহ মাওবাদী প্রভাবিত বেশ কয়েকটি জেলায় সেই অভিযান জারি রয়েছে।
গত শনিবার ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় আইইডি বিস্ফোরণে এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক জন। তাঁরা উভয়েই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।