কী ভাবে বাসি ভাত খেলে শরীরের ক্ষতি হবে না? ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি বাড়িতে দিনের শেষে হাঁড়িতে অতিরিক্ত ভাত থেকে যাওয়ার ঘটনাটি একেবারেই বিরল নয়। কিন্তু আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ভাত পরের দিন কী ভাবে খাওয়া যাবে, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকেই। কেউ দিনের পর দিন বাসি ভাতই গরম করে খান, কেউ আবার পছন্দ করেন নুন, লেবু, আলু মাখা এবং এক টুকরো পেঁয়াজ দিয়ে পান্তাভাত খেতে। পুষ্টিবিদদের মতে, বাসি ভাত যদি খেতেই হয়, তবে জল মিশিয়ে পান্তা খাওয়াই ভাল। বাসি ভাত গরম করে খেলেও তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভাল নয়। এতে ভাতের পুষ্টিগত মান তো কমেই, থেকে যায় ডায়েরিয়া, বমির মতো রোগের আশঙ্কাও। অন্য দিকে মজে যাওয়া ভাতে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান আর বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের মাত্রাও সাধারণ ভাতের তুলনায় বেশি থাকে, তাই পান্তা ভাত খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।
প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা জলে ভিজে থাকায় স্বল্প অ্যালকোহলের উপস্থিতির জন্য পান্তা ভাত খেয়ে বেশ ঝিমুনি ভাব আসে। তবে, গরমের দিনে পান্তাভাত শরীর ঠান্ডা, সতেজ রাখে। শরীরে জলের অভাব দূর করে তাপমাত্রার ভারসাম্যও বজায় রাখে। পান্তাভাত শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতেও বেশ উপকারী। পেটের রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা-সহ সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে পান্তাভাত।
চিকিৎসকদের মতে, যে হেতু ভাত দীর্ঘ ক্ষণ ভিজিয়ে পান্তা হয়, সে জন্য তা অর্ধপাচ্য হয়ে যায়। সহজেই হজম হয়। মশলা এবং তেলযুক্ত পোলাও বিরিয়ানির থেকে পান্তা অনেক বেশি উপকারী। তবে পান্তাভাত ভাল ভাবে সংরক্ষণ করা এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে খাওয়াটা জরুরি।বেশি দিনের বাসি হওয়াটা ঠিক নয়।