উৎসবের পরে শরীরকে আবার আগের ছন্দে ফেরাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
সকাল থেকে একপ্রস্ত ভোজনপর্ব চলেছে। এখনও সে খাবার হজম হয়নি। দুপুরে রয়েছে খাসির মাংস-ভাত। দোলের রং তুলে, দুপুরের খাবার খেতে অন্যান্য দিনের চেয়ে দেরি একটু হবেই। বিকেল-সন্ধ্যায় আবার হোলির পার্টিও রয়েছে। এত কিছুর পর, শরীর কি আর আগের মতো থাকবে? দোলের রেশ কাটিয়ে আগামিকাল থেকে আবার আগের ছন্দে কাজে ফিরতে হলে কী কী মাথায় রাখতে হবে?
১) আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে:
জল কম খাওয়া চলবে না। চাইলে শরবত, ডাবের জল, ঘোল, লস্যি, ঠান্ডাই-ও খেতে পারেন। শরীরে জমা টক্সিন বার করতে গেলে, হজমের সমস্যা এড়াতে চাইলে, শরীর-মন চনমনে রাখতে চাইলে সব সময়ে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। জলের ঘাটতি পূরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতাও বজায় থাকবে।
২) খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:
দোলের দিন মনে, গালে তো রঙ লাগবেই। সঙ্গে খাবারের পাতেও নানা ধরনের মুখরোচক সমস্ত পদ থাকবে। সেই সব খাবার খেয়ে শরীর গোলমাল করতেই পারে। তাই চুটিয়ে রং খেললেও খাবারে একটু লাগাম রাখতে হবে। শাক-সব্জি, ফল, হালকা-পাতলা ঝোলের উপর ভরসা করা যেতেই পারে।
৩) ডিটক্সিফায়িং পানীয় খেতে হবে:
যে ধরনের পানীয় খান না কেন, খেয়াল রাখতে হবে, তার মধ্যে লেবুর রস, আদা, কাঁচা হলুদের মতো উপাদান যেন থাকে। এই সব উপকরণ প্রাকৃতিক ভাবে শরীর থেকে টক্সিন দূর করার পাশাপাশি, লিভারের কাজকর্ম ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
৪) খাবারের পরিমাণে নজর দিন:
দোলের দিন প্রায় সব বাড়িতেই ভালমন্দ রান্না হয়। ছুটির দিন লাগামছাড়া হয়ে সেই সব খেয়ে শরীরের বিপদ বাড়িয়ে তোলার কোনও মানেই হয় না। তাই রোজ যে পরিমাণ খাবার খেয়ে অভ্যস্ত, সেইটুকুই খান। তাতে হজমের গোলমাল হবে না। শরীরও খানিক নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৫) ক্যাফিন জাতীয় খাবার, পানীয় বাদ:
এক দিকে শরীরে জমা টক্সিন বার করতে ‘ডিটক্স ওয়াটার’ খাচ্ছেন। অন্য দিকে, কাপের পর কাপ কফি খেয়ে যাচ্ছেন। বন্ধুদের অনুরোধে একটু মদও খেতে হচ্ছে। ফলে লাভ কিছুই হচ্ছে না। উৎসবের রেশ কাটিয়ে শরীরকে আবার আগের ছন্দে ফিরিয়ে আনতে গেলে ক্যাফিন একেবারেই বাদ দিতে হবে।