দোলের দিন বহু বাড়িতেই মালপোয়া খাওয়ার চল রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
বসন্ত উৎসব আয়োজনের ভার এ বছর আপনার উপর। ইতিমধ্যেই ঘর, বাড়ি, দালান, উঠোন— সাজানো হয়ে গিয়েছে। নানা রকম ভেষজ রং কিনে মজুত করে ফেলেছেন। এ বার পরিকল্পনা করতে হবে খাওয়াদাওয়ার। অন্যান্য দিন যেমন তেমন, কিন্তু দোলের দিন ঠান্ডাই, বাদামের শরবত, ভাঙের সঙ্গে হরেক রকম নোনতা, মিষ্টি খাবার রাখতেই হয়।
দোলের দিন বহু বাড়িতেই মালপোয়া খাওয়ার চল রয়েছে। বৈষ্ণব ঐতিহ্যে মালপোয়া ভোগের চল বহু প্রাচীন বলেই জানা যায়। তাই রীতি মেনে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারেন এই মিষ্টি। ভিতরে থাকতে পারে ক্ষীরের পুর। হাতের কাছে সব জোগাড় করা থাকলে মিষ্টি বানাতে খুব বেশি সময় লাগবে না। কী ভাবে বানাবেন? রইল প্রণালী।
উপকরণ:
দুধ: দেড় কাপ
খোয়া ক্ষীর: ১ কাপ
ময়দা: ১ কাপ
মৌরি: ১ টেবিল চামচ
ঘি: ১ কাপ
ক্ষীরের পুর বানাতে লাগবে:
দুধ: ১ লিটার
কেশর: এক চিমটে
চিনি: ৩ টেবিল চামচ
খোয়া ক্ষীর: আধ কাপ
ছোট এলাচ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
কাজু, পেস্তা, কাঠবাদামের কুচি: প্রয়োজন অনুযায়ী
রস তৈরি করতে লাগবে:
চিনি: দেড় কাপ
জল: ১ কাপ
ছোট এলাচ: ২টি
প্রণালী:
১) উষ্ণ গরম দুধের সঙ্গে খোয়া ক্ষীর ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। ক্ষীর দুধের মধ্যে একেবারে মিশে গেলে তাতে অল্প অল্প করে ময়দা দিয়ে মালপোয়ার ব্যাটার তৈরি করুন।
২) যদি দুধ, ক্ষীর এবং ময়দা মিক্সিতে দিয়ে মিহি করে মেশাতে পারেন, তা হলে আরও ভাল হয়। সে ক্ষেত্রে ময়দা ছাঁকনিতে ছেঁকে নেবেন। তা হলে ব্যাটারটি আরও মসৃণ হবে।
৩) এ বার মিশ্রণটি একটি বড় পাত্রে ঢেলে নিন। এর মধ্যে দিয়ে দিন মৌরি। ভাল করে মিশিয়ে নিন। মৌরি দেওয়ার আগে সেগুলিকে একটু থেঁতো করে নিতে পারেন। আরও ভাল গন্ধ বেরোবে।
৪) এ বার কড়াইয়ে ঘি গরম করুন। একে একে মালপোয়া ভেজে তুলুন।
৫) অন্য একটি পাত্রে জল গরম করে তাতে চিনি দিয়ে ফোটাতে থাকুন। ধীরে ধীরে চিনি গলে যাবে। তার মধ্যে এলাচ দিয়ে দিন। এতেই এ বার ক্ষীরের মালপোয়া দিতে হবে।
৬) অন্য কড়াইতে দুধ, খোয়া ক্ষীর, চিনি, ছোট এলাচের গুঁড়ো ভাল করে জ্বাল দিন। দুধ ঘন হয়ে এলে মিহি করে কেটে নেওয়া কাজু, পেস্তা, কাঠবাদাম এক সঙ্গে মিশিয়ে দিন। মালপোয়ার পুর রেডি।
৭) রস থেকে মালপোয়া তুলে নিয়ে ক্ষীর ভরে, উপর থেকে একটু কেশর ছড়িয়ে প্লেটে সাজিয়ে দিলেই হল।