নীতার মসৃণ ত্বকের রহস্য কী? ছবি: সংগৃহীত।
মুকেশ অম্বানীর বাড়ির অনুষ্ঠানে বলিউড যতই হাজির থাকুক, আলাদা করে নজর কাড়েন নীতা অম্বানী। ঘরোয়া কোনও উদ্যাপন হোক কিংবা বড় উৎসব, অম্বানীর বাড়ির কর্ত্রী কী সাজলেন, তা নিয়ে একটা চর্চা চলেই। ছেলে-মেয়ে, বৌমা-জামাই নিয়ে ভরা সংসার নীতার। শাশুড়ি হয়েছেন অনেক আগেই। কিন্তু নীতাকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই একেবারে। অম্বানী বাড়ির বৌ তিনি, তাঁর জীবনযাপন যে সাধারণের চেয়ে আলাদা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। নীতার বয়স ৬০ ছুঁইছুঁই। কিন্তু বয়স মুকেশ-ঘরনির সৌন্দর্যে থাবা বসাতে পারেনি। বরং অনেকেই বলেন, নীতার বয়সের চাকা নাকি উল্টো দিকে ঘুরছে।
ছোট ছেলে অনন্ত অম্বানীর প্রাক্-বিবাহ উদ্যাপনেও হবু শাশুড়ি নীতার সাজগোজ চর্চায় উঠে এসেছে। জমকালো শাড়ি কিংবা ভারী কাজের লেহঙ্গা— সব পোশাকেই নীতা সমান মানানসই। শুধু সাজগোজ নয়, নীতার ঝলমলে ত্বক নিয়েও কম চর্চা হয় না। ধনী পরিবারের বৌ তিনি, সারা ক্ষণ যত্নে থাকেন। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করেন। রূপচর্চার জন্য আলাদা সময় ব্যয় করেন। ফলে নীতার ত্বক যে এই বয়সেও টান টান, মসৃণ এবং পেলব হবে, তা অস্বাভাবিক কিছু নয়, এমন ধারণাই অনেকে পোষণ করেন। এই অনুমান পুরোটা না হলেও খানিকটা তো সত্যি বটেই। ত্বকের খেয়াল রাখতে নীতা জোর দেন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ায়। প্রচুর ফল আর সব্জি খান। সেই সঙ্গে সারা দিনে কয়েক লিটার জল তো খানই। তবে নীতার সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে অন্য একটি সব্জিতে।
রোজ খালি পেটে এক গ্লাস বিটের রস খান নীতা। ত্বকের যত্নে বিট সত্যিই উপকারী। বিটে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন যাবতীয় দূষিত পদার্থ শরীর থেকে দূর করে দেয়। ফলে, ভিতর থেকে যত্নে থাকে ত্বক। বয়স বাড়লেও ত্বকের টান টান ভাব ধরে রাখার অব্যর্থ দাওয়াই হল বিটের রস। তা ছাড়া ত্বক সজীব রাখতেও জলের পাশাপাশি ভরসা রাখা যায় বিটের রসের উপর। ত্বক মসৃণ এবং কোমল রাখতে বিট সত্যিই কার্যকরী।