মিমি চক্রবর্তী
ব্যস্ত অভিনেত্রী। আবার সাংসদও। কম বয়সেই পেয়েছেন যথেষ্ট সাফল্য। তবু লড়াই আছে। তা নিজেকেই লড়তে হয়। কেমন লড়াই? মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার লড়াই।
আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক এবং ইউটিউব লাইভ ‘অ-জানাকথা’-এ এসে স্পষ্ট ভাবে সে সব কথা বললেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। জানালেন ‘অ্যাংজাইটি অ্যাটাক’-এর কথা। এক এক সময়ে অতিরিক্ত উদ্বেগের সমস্যায় ভোগেন তিনি। বললেন, ‘‘এটা আমার লড়াই। নিজেকেই লড়তে হয়। যত্ন নিতে হয়।’’
এক কালে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সকলের সামনে মুখ খোলা প্রায় ছিল লজ্জার কথা। আবার তিনি যদি হন মিমির মতো তারকা, তাঁদের হতে হত আরও বেশি সতর্ক। এখনও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ছুৎমার্গ যায়নি। অনেকেই উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা দেখা দিলে তা লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হন। কিন্তু মিমি অকপট। বললেন, ‘‘মানসিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসা করাতে হবেই। অম্বল হলে যেমন অ্যান্টাসিড খাই, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা হলেও তেমন যত্ন চাই।’’ তাঁর এই মন্তব্য মনোরোগ নিয়ে সচেতনতা গড়তে সাহায্য করবে বলেই মনে করেন অনেকে।
মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগলে তার যত্নের প্রক্রিয়া হয় আলাদা। যেমন নিয়মিত ধ্যান করতে পারলে ভাল হয় বলে মত প্রকাশ করলেন মিমি। জানালেন, তিনি নিজেও তা করেন।
শনিবারের এই আলোচনার শুরুর দিকেই মিমি জানিয়েছিলেন, কোনও কিছুতে ভয় পান না তিনি। পরবর্তীতে নিজের উদ্বেগ সংক্রান্ত সমস্যার কথা বলে স্পষ্ট করলেন যে ভয় এবং উদ্বেগ দু’টি একেবারে আলাদা বিষয়। এ নিয়ে অনেকে যেমন গুলিয়ে ফেলে উদ্বেগের সমস্যাকে লঘু করার চেষ্টা করে থাকেন, তার জায়গা নেই। বরং ঘন ঘন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলাফেরা, যত্নও জরুরি।