সেদ্ধ চিকেন অঙ্কুশের একেবারে না-পসন্দ। ছবি: সংগৃহীত
২০১০ সাল। 'কেল্লাফতে' ছবির হাত ধরে বাংলা সিনেমার জগতে পা রাখেন তিনি। ছবিটি গড়পড়তা জনপ্রিয়তা পেলেও নবাগত নায়কের নৃত্যশৈলী কিন্তু নজর কেড়েছিল দর্শকের। জীবনের প্রথম ছবিতে উপচে পড়া সাফল্য না এলেও পরবর্তী বাংলা বাণিজ্যিক ছবির বক্স অফিস সাফল্যের তিনিও যে এক জন কাণ্ডারি, সে কথা জানান দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি অঙ্কুশ হাজরা।
‘কেল্লাফতে’-র পর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতিষ্ঠিত পরিচালকদের পরিচালনায় এবং টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের বিপরীতে একের পর এক বাণিজ্যিক ছবির নায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।
স্বাভাবিক ভাবেই পর্দার নায়ক-নায়িকাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা কৌতূহল থাকে। কী ভাবে তাঁরা নিজেদের পরিচর্যা করেন, তা জানতেও প্রবল আগ্রহী দর্শকেরা। সেই তালিকায় বাদ পড়েননি অঙ্কুশ অনুরাগীরাও। তাঁদের প্রিয় নায়ক কী ভাবে নিজেকে এমন সুঠাম রাখেন? কী খেয়েই বা সারাক্ষণ এত প্রাণবন্ত থাকেন অঙ্কুশ, তা নিয়ে জানতে প্রবল উৎসাহী তাঁরা।
এ বার তা এল প্রকাশ্যে। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তা নিজেই জানালেন অঙ্কুশ হাজরা। রইল তাঁর রোজকার খাদ্যতালিকা।
সকাল
শ্যুটিং না থাকলে অঙ্কুশ বেলা করে উঠতেই পছন্দ করেন। ঘুম থেকে উঠে চুমুক দেন গ্রিন টি-র কাপে।
প্রাতরাশ
অঙ্কুশের সকালের জলখাবারে থাকে দু’টো ডিমের সাদা অংশ এবং চিকেন সসেজ। সঙ্গে কিছু মরসুমি ফল।
দুপুরের খাবার
সেদ্ধ চিকেন অঙ্কুশের একেবারে না-পসন্দ। খাদ্যতালিকায় থাকলেও সেদ্ধ চিকেন খেতে তিনি একেবারেই রাজি নন। বরং গ্রিলড চিকেন খেতেই ভালবাসেন এবং তাই-ই খান। বাড়িতে থাকলে মাঝে মাঝে ভাতও খান। তবে পরিমাণে খুবই অল্প।
সন্ধের জলখাবার
সন্ধেবেলার খাবারে ভারী কোনও খাবার থাকে না। সন্ধেবেলায় বাড়িতে থাকলে প্রোটিন বার খেয়ে নেন। কখনও বা স্ক্র্যাম্বেলড এগ খান।
রাতের খাবার
বাড়িতে থাকলেও খেতে ৯টা পার হয়ে যায়। আবার বাইরে শো থাকলে সেটা অনেক সময় রাত ২টোতেও গড়ায়। বেশির ভাগ রাতেই অঙ্কুশ গ্রিলড ফিশ এবং গ্রিলড চিকেন খান।
শরীরচর্চা
অঙ্কুশের অনেকগুলি শখের মধ্যে শরীরচর্চাও একটি। নিয়মিত জিমে গিয়ে সাধারণত প্রায় দু’তিন ঘণ্টা মন দিয়ে শরীরচর্চা করেন তিনি। চরিত্রের প্রয়োজনে শরীর আরও পেশীবহুল করে তুলতে শরীররচর্চার সময় মাঝে মাঝেই দীর্ঘ হয় অঙ্কুশের।