বিলাল আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
দূষণের প্রভাব কমাতে পেট্রোল, ডিজেলের পরিবর্তে ভারতে সিএনজি ও ইলেক্ট্র্রিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ছে ক্রমশ। ‘সিএনজি’ হল উচ্চ চাপে জমানো মিথেন গ্যাস, যা জ্বালানি হিসাবে পেট্রোলিয়াম, ডিজেল বা এলপিজির-র পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে। মিথেন হল প্রাকৃতিক গ্যাস। তাই দূষণের আশঙ্কাও কম। জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বৃদ্ধি করতেও বিজ্ঞানীরা তৎপর হয়েছেন। তবে শুধু বিজ্ঞানীরা নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার প্রয়াস রয়েছে। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ কাশ্মীরের অঙ্কের শিক্ষক বিলাল আহমেদ। পেট্রোল, ডিজেলের বিকল্প হিসাবে তিনি বানিয়ে ফেলেছেন সৌরবিদ্যুৎ চালিত গাড়ি। সূর্যের আলোর সাহায্যে চলবে এই গাড়ি। কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের সনৎ নগরে বিলালের বাড়ি। শিক্ষকতার পাশাপাশি, তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছিলেন। সৌরবিদ্যুৎ চালিত গাড়ি সেই দীর্ঘ গবেষণা ও ভাবনার ফসল।
এই গাড়িতে কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে?
গাড়িটি সম্পূর্ণ ভাবেই বিদ্যুৎচালিত। মোনোক্রিস্টালাইন সোলার প্যানেল দিয়ে তৈরি। অপেক্ষাকৃত কম সূর্যের তাপেও এই গাড়ি বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে এর জন্য বিলাল একটি বিশেষ ধরনের সোলার প্যানেল ব্যবহার করেছেন। গাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশটি হল এর দরজা। সোলার প্যানেলটি দরজার উপরেই বসানো রয়েছে। এই বিশেষ গাড়িটি তৈরি করতে তাঁর সময় লেগেছে প্রায় ১১ বছর। ২০০৯ সালে সৌরবিদ্যুতে চালিত গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেন। পরিশ্রমের সেই শুরু। এত বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি। তবে বিলাল জানিয়েছেন, আর্থিক সাহায্য পেলে আরও আগেই এটি বানিয়ে ফেলতে পারতেন।
কাশ্মীরের আকাশ প্রায় সময়েই মেঘলা থাকে। তাই অল্প আলোতেও যাতে গাড়ি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে, তেমন বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি সোলার প্যানেল বানিয়েছিলেন তিনি। এই সোলার প্যানেলের কার্যক্ষমতা শক্তিশালী, তা পরখ করে দেখতে বিভিন্ন সংস্থার কাছেও গিয়েছেন।