‘বিরিয়ানি-কাণ্ড’ ছবি- সংগৃহীত
গোটা একটা বিরিয়ানির প্যাকেট খেয়ে শেষ করে ফেলেছেন স্বামী। দেখেই রেগে আগুন হয়ে যান স্ত্রী। আর সেই রাগেই স্বামীকে টানতে টানতে নিয়ে এসে একসঙ্গে গায়ে আগুন দেন মহিলা।
সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের আয়ানাভারাম অঞ্চলের বাসিন্দা বছর ৭০-এর পদ্মাবতী এবং ৭৪-এর করুণাকরণ বেশ কিছু দিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন। তাই পুলিশেরও সন্দেহ ছিল, হয়তো সেই কারণেই তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে পদ্মাবতীর বয়ান সকলকে বিস্মিত করে।
ওই দম্পতির চার সন্তান, তাঁরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় আলাদা আলাদা থাকেন। অভিযোগ, তাঁরা মা-বাবার খোঁজ রাখেন না। প্রয়োজনে এক-আধবার এলেও বেশির ভাগ সময় একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। ওই এলাকার বাসিন্দারাও নিত্যদিন তাঁদের এই অশান্তি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। ঘটনার রাতে তারা ওই বৃদ্ধ দম্পতির চিৎকার শুনতে পেলেও ঘটনাক্রম আন্দাজ করতে পারেননি। পরে প্রতিবেশীরা সেখানে পৌঁছলে, ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে দগ্ধ অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
তৎক্ষণাৎ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা দেখেন, ওই দম্পতির শরীরের প্রায় অর্ধেকের বেশি আগুনে ঝলসে গিয়েছে। ঘটনার এক দিন পরই তাঁদের মৃত্যু হয়। তবে মারা যাওয়ার আগে পদ্মাবতী নিজমুখে ঘটনার দিন রাতের ‘বিরিয়ানি-কাণ্ড’-এর বিবরণ দিতে পেরেছিলেন।