প্রবীণদের ক্ষেত্রে রাতে আলো পুরোপুরি নিভিয়ে শোয়া কিছুটা অসুবিধাজনক। প্রতীকী ছবি।
আলো না নিভিয়েই শুয়ে পড়েন রাতে? সাবধান! এই অভ্যাসই ডেকে আনতে পারে বিপদ। আমেরিকার এক দল গবেষকের দাবি, শোয়ার সময়ে নৈশবাতি জ্বালিয়ে রাখার অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। ঘুমানোর সময় নূন্যতম আলো জ্বালানো থাকলেও তা প্রবীণদের মধ্যে বাড়িয়ে দিতে পারে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি, এমনটাই দাবি গবেষকদের।
বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা স্লিপ-এ প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল বিজ্ঞানীর করা একটি গবেষণা। ৬৩ থেকে ৮৪ বছর বয়সি প্রবীণদের ঘুমের উপর আলোর প্রভাব নিয়ে গবেষণাটি চালানো হয়। মোট ৫৫২ জন ব্যক্তি অংশ নিয়েছিলেন এই গবেষণায়। অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের ২ ভাগে ভাগ করে করে পরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। প্রথম ভাগে ছিলেন এমন কিছু মানুষ যাঁরা দিনে অন্তত ৫ ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন। ঘুমের সময় কোনও রকম আলো ছিল না, পুরোপুরি অন্ধকারে ঘুমিয়েছেন তাঁরা। দ্বিতীয় দলের ব্যক্তিরা ঘুমানোর সময় অল্প হলেও আলো জ্বালিয়ে শুয়েছেন।
গবেষণার ফলাফল বলছে, যাঁরা আলো পুরোপুরি নিভিয়ে শুয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার সমস্যা তুলনামূলক ভাবে কম দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের ক্ষেত্রে কম দেখা গিয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের আশঙ্কাও তুলনামূলক ভাবে দ্বিতীয় দলের চেয়ে কম, দাবি গবেষকদের। তবে গবেষণার ফলাফল যা-ই বলুক, ঠিক কেন এমন হচ্ছে তা নিয়ে নিশ্চিত নন গবেষকরা। পাশাপাশি, তাঁদের মতে যদি রাতে বাথরুমে যাওয়া বা অন্য কোনও কাজে মধ্যরাতে ওঠার দরকার হয়, তবে আলো জ্বালাতেই হবে। বিশেষ করে প্রবীণদের ক্ষেত্রে রাতে আলো পুরোপুরি নিভিয়ে শোয়া কিছুটা অসুবিধাজনক। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।