সন্তান কোলে ভারতীয় বংশোদ্ভুত অন্নেকা পটেল। ছবি সংগৃহীত।
মধ্যরাতে সদ্যোজাত সন্তানকে খাওয়াতে উঠেই আচমকা দেখেন অফিসের মেল। সেখানে পরিষ্কার করেই জানানো হয়েছে যে, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকাকালীন তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
মেটার দফতর থেকে ভোর সাড়ে ৫টায় এই মেলটি আসে বলে সমাজমাধ্যমে জানান ভারতীয় বংশোদ্ভুত অন্নেকা পটেল।
বছর দুয়েক আগে করোনা অতিমারি পর্বে এক রকম জোর করেই মেটা তাঁকে চাকরিতে নিযুক্ত করে। এই সময়ে কর্মীসংখ্যা প্রায় ৯০হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। গতকাল দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, মেটা সংস্থা তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তাই এই ব্যবস্থা।
এ দিকে মাত্র কয়েক মাসের সদ্যোজাতকে নিয়েও সময় বাঁচিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন অন্নেকা। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতিও মিলেছিল। মাতৃত্বের পর এমনিতেই মেয়েদের অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তার উপর এই রকম একটা খবরে মাথায় রীতিমতো আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁর।
ভারত থেকে কানাডায় সদ্য পা রাখা হিমাংশু ভি-ও এক পরিস্থিতির শিকার। সমাজ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “মেটা সংস্থায় নিযুক্ত হওয়ার দুদিনের মাথায় আমার পথচলা শেষ হয়ে গেল।”
এই নিয়ে মেটা সংস্থা ১৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করে ফেলেছে। পাশাপাশি টুইটারও তাদের কর্মী সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ ছাঁটাই করে ফেলেছে।