অসমের অবৈধ কয়লাখনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ছবি: এক্স।
অসমের ডিমা হাসাও অবৈধ খনি মামলায় শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন আরও এক জন। ধৃতের নাম হানান লস্কর। তিনি ওই অবৈধ কয়লাখনির ম্যানেজার ছিলেন। সোমবার সেখানেই আটকে পড়েছিলেন ন’জন শ্রমিক। এখনও পর্যন্ত এক জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। আট জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তাঁরা জীবিত না মৃত, তা এখনও জানা যায়নি।
বুধবার এক জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ডিমা হাসাওয়ের খনি থেকে। তাঁর নাম গঙ্গাবাহাদুর শ্রেষ্ঠা। নেপালের উদয়পুর জেলা থেকে কাজ করতে এসেছিলেন। ময়নাতদন্তের পরে তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাকিদের খোঁজে এখনও দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাদের সঙ্গে ভারতীয় নৌসেনার একটি দলও রয়েছে। অবৈধ কয়লাখনি নিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে কংগ্রেস সরকার।
সোমবার উমরাংসোর ওই অবৈধ খনিতে কয়লার খোঁজে নেমেছিলেন শ্রমিকেরা। কিন্তু আচমকাই ওই খনিতে হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। ভিতরেই আটকে পড়েন শ্রমিকেরা। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পৌঁছয় রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারা প্রাথমিক ভাবে পাম্পের সাহায্যে খনি থেকে জল বার করে আনার চেষ্টা করে। তবে উদ্ধারকাজের প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় সোমবারই সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানায় অসম সরকার। সেই মতো উদ্ধারকাজে নামে সেনাও। আটকে পড়া শ্রমিকদের এক জন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। তাঁর নাম সঞ্জিত সরকার।