গরমে চুমুক দিন ফলের কুলারে। ছবি: শাটারস্টক
স্কুলে গরমের ছুটি পড়তে এখনও কিছু দিন দেরি। তবে দিনভর দৌড়ঝাঁপের পর গরমে ঘেমে-নেয়ে খুদে যখন ক্লান্ত শরীরে বাড়ি আসে, তার দিকে নজর না দিলেই নয়। এমনিতেই দৌরাত্ম্য করতে গিয়ে জল খাওয়ার কথা মনে থাকে না তাদের। তা ছাড়া শুধু জল খেলেই তো হল না। গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় খনিজ বেরিয়ে গেলে বিগড়ে যেতে পারে ইলক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য। বদলে শিশুকে দিন রঙিন পানীয়, তবে তা ক্ষতিকর নয়। গরমে কুল থাকতে ফলের রস, ডাবের জল, সৈন্ধব লবণ, পুদিনা পাতা দিয়ে কী ভাবে বানাবেন রঙিন 'কুলার'?
আনারসের পানীয়: রসালো ফল আনারস। ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ়, ফাইবারে ভরপুর আনারস খেলে শরীরে জলের অভাব কিছুটা হলেও দূর হবে। কিন্তু তেতেপুড়ে এসে তেষ্টার সময় ফল নয়, ঠান্ডা পানীয় পছন্দ বড় থেকে ছোট সকলের। শরীরে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হলেও বিপদ! সে কাজে সাহায্য করবে ডাবের জল।
আধ কাপ আনারস কুচির সঙ্গে একটি ডাবের জল, এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ নারকেলের দুধ মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। যোগ করুন বরফকুচি। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে গরমের কুলার। চাইলে এক চিমটে সৈন্ধব নুন এবং ১ চা-চামচ চিনি এতে যোগ করতে পারেন।
শসার কুলার: চিয়া বীজ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এটি বানানোর জন্য আধ চা-চামচ চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রাখুন। একটা বড় মাপের শসা খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। মিক্সারে শসা ঘুরিয়ে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন খুব সামান্য সৈন্ধব নুন, একটি পাতিলেবুর রস, ১ চা-চামচ মধু, থেঁতো করে নেওয়া পুদিনা পাতা। যোগ করুন বরফকুচি।
তরমুজের কুলার: ৩ কাপ তরমুজ কুচির সঙ্গে ৮-১০টি পুদিনা পাতা, বরফকুচি, ১ টেবিল চামচ মধু, এক চিমটে সৈন্ধব লবণ মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তা হলেই তৈরি তরমুজের কুলার।
জলের বদলে কুলার কেন খাবেন?
টাটকা ফল দিয়ে তৈরি কুলার শরীরে জলের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন, খনিজের জোগান দেবে। তা ছাড়া এই পানীয় খেতেও স্বাদু।