মোহনবাগানের হয়ে দ্বিতীয় গোল করার পর উল্লাস জেমি ম্যাকলারেনের। ছবি: সমাজমাধ্যম।
আইএসএল কাপ জেতার পর মোহনবাগানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “বাংলার দল মোহনবাগানের জন্য আমরা গর্বিত। আইএসএলের চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার জন্য তোমাদের শুভেচ্ছা। তোমাদের এই দুর্দান্ত জয়কে কুর্নিশ। আমরা তোমাদের নিয়ে গর্বিত।”
লিগ-শিল্ডের পর আইএসএল কাপও জিতল মোহনবাগান। ২-১ গোলে বেঙ্গালুরুকে হারাল তারা।
অতিরিক্ত সময়ে পাঁচ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের মধ্যে বল বাড়ান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার চিংলেনসানার ভুল থেকে বল পান ম্যাকলারেন। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
আইএসএল কাপ ফাইনাল গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
সমতা ফেরানোর পরের মুহূর্তেই এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। বক্সে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর হেড বার উঁচিয়ে চলে যায়।
সমতা ফেরাল মোহনবাগান। ৭১ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন বেঙ্গালুরুর চিংলেনসানা। পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি কামিংস। গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান তিনি।
৬০ মিনিটের মাথায় জোড়া বদল করলেন মোলিনা। লিস্টন কোলাসো ও অনিরুদ্ধ থাপার বদলে নামালেন আশিক কুরুনিয়ন ও সাহাল আব্দুল সামাদকে।
৫৭ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন কামিংস। তাঁর বাঁ পায়ের শট ভাল বাঁচান বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক গুরপ্রীত।
৪৯ মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়ল মোহনবাগান। বল বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিলেন বাগানের ডিফেন্ডার আলবের্তো রদ্রিগেস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বেঙ্গালুরুর। বক্সের মধ্যে থেকে বেঙ্গালুরুর ফুটবলারের শট ভাল বাঁচান বিশাল। নইলে ১-০ এগিয়ে যেত বেঙ্গালুরু।
গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে গেল দু’দল। তবে গোটা প্রথমার্ধ জুড়ে আক্রমণ করে গেল বেঙ্গালুরু।
বেঙ্গালুরুর চাপ সামলে খেলায় ফিরতে পারছে না মোহনবাগান। মাঝমাঠে বল পেলেও তা ধরে রাখতে পারছেন না কামিংস, ম্যাকলারেনরা। বেঙ্গালুরুর আক্রমণ কমছে না। মাঝেমাঝে প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাতে পারছে না সবুজ-মেরুন।
প্রাথমিক চাপ সামলে খেলায় ফিরেছে বেঙ্গালুরু। মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে একের পর এক আক্রমণ হচ্ছে। চাপে পড়ে গিয়েছে বাগানের রক্ষণ। সুরেশ, সুনীল, রায়ান উইলিয়ামসদের থামাতে হিমশিম খাচ্ছেন শুভাশিসেরা। ১৮ থেকে ২৮ মিনিটে বেঙ্গালুরুর কাছে বলের দখল ৭৪ শতাংশ।
বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। কর্নার থেকে ফাঁকায় হেড দেন তিনি। বল গোলের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু বল ও গোলের মাঝে দাঁড়িয়েছিলেন শুভাশিস বসু। মোহনবাগানের অধিনায়কের বুকে লেগে বল ফেরে।
১০ মিনিটের পর থেকে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছে তারা। কিন্তু গোলের মুখ এখনও খুলতে পারেনি সবুজ-মেরুন।
খেলার ৯ মিনিটের মাথায় গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন কামিংস। ম্যাকলারেন গোল লক্ষ্য করে শট নেন। গুরপ্রীত সেই বল বাঁচালেও বল চলে যায় কামিংসের পায়ে। অস্ট্রেলীয় বিদেশি বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। ফলে সুযোগ হারান তিনি।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করেছে দু’দল। মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু দু’দলই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে। প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠছে দু’দল।
আইএসএল কাপ ফাইনাল শুরু হয়ে গেল যুবভারতীতে। মরসুমে জোড়া ট্রফি জিততে নেমেছে মোহনবাগান। সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ। বেঙ্গালুরুও ট্রফি জিততে মরিয়া।
গুরপ্রীত সিংহ সান্ধু (গোলরক্ষক), রাহুল ভেকে, চিংলেনসানা সিংহ, রায়ান উইলিয়ামস, সুরেশ সিংহ, আলবার্তো নগুয়েরা, সুনীল ছেত্রী (অধিনায়ক), এডগার মেন্ডেজ়, পেদ্রো কাপো, নিখিল পুজারি, রোশন সিংহ।
বিশাল কাইথ (গোলরক্ষক), শুভাশিস বসু (অধিনায়ক), টম অলড্রেড, আলবের্তো রগ্রিগেস, দীপেন্দু বিশ্বাস, অনিরুদ্ধ থাপা, লিস্টন কোলাসো, আপুইয়া, মনবীর সিংহ, জেসন কামিংস, জেমি ম্যাকলারেন।