Weight loss tips

ওজন ঝরাতে গেলে ক্যালোরির ঘাটতি জরুরি, কিন্তু কী ভাবে? উপায় বলছেন পুষ্টিবিদ

ওজনে সঙ্গে ক্যালোরির নিবিড় যোগ। ওজন কমাতে গেলে, সেই হিসেব বুঝতে হবে। কী ভাবে শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করবেন?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪১
ক্যালোরির ঘাটতি তৈরির সহজ উপায়।

ক্যালোরির ঘাটতি তৈরির সহজ উপায়। ছবি:ফ্রিপিক।

ওজন কমাতে চান অনেকেই। কিন্তু কী ভাবে? কম খেয়ে, বাড়তি শরীরচর্চা করেই কি মেদ ঝরবে? পুষ্টিবিদেরা বলেন, এটা মোটেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। বরং পুষ্টির অভাব হলে দুর্বল হয়ে যেতে পারে শরীর।

Advertisement

তাই ওজন কমাতে গেলে অঙ্ক কষতে হবে ক্যালোরির। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দৈনিক ৫০০ ক্যালোরির ঘাটতি থাকলে ওজন কমানো সহজ। কিন্তু ঘাটতি তৈরি হবে কী ভাবে?

প্রতিদিন শরীরবৃত্তীয় কাজ, হাঁটাচলা, শরীরচর্চা এমনকী বিশ্রামের সময়েও ক্যালোরির দরকার হয়। দেখতে হবে যা খাওয়া হচ্ছে তাতে শরীর কতটা ক্যালোরি পাচ্ছে। দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনীয় ক্যালোরি খরচ হওয়ার পরেও তা জমছে কি! তা হলে কিন্তু ওজন কমবে না। বরং দৈনন্দিন যতটা ক্যালোরি প্রয়োজন তার চেয়ে কিছুটা কম খাবার খেতে হবে, না হলে যে খাবার খাচ্ছেন সেটা শারীরিক কসরত করে ঝরিয়ে ফেলতে হবে। দেখতে হবে দৈনিক যেন ৩০০-৫০০ ক্যালোরির ঘাটতি হয়।

ওজন ঝরানোর সহজ উপায়

প্রোটিন এবং ফাইবারে জোর দেওয়া দরকার: ক্যালোরির ঘাটতি তৈরির পথ বাতলাচ্ছেন সমাজমাধ্যম প্রভাবী পুষ্টিবিদ লিও ডোমব্রোস্কি। তাঁর পরামর্শ, খাওয়ার তালিকায় পরিমাণমতো প্রোটিন এবং ফাইবারের জোগান রাখতেই হবে। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয় খেয়াল রাখা দরকার। লিও-র পরামর্শ সকালের খাবার হোক বা দুপুর কিংবা রাতের খাওয়া ৩০-৪০ গ্রাম প্রোটিন এবং ২৫-৩০ গ্রাম ফাইবার যেন থাকে, দেখা দরকার।

কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার: যে সব খাবারে পুষ্টিগুণ বেশি, ক্যালোরি কম সেই সমস্ত খাবার বাছাই করতে হবে। সাধারণত, ফাইবার যুক্ত খাবার এই তালিকায় থাকে। এ ছাড়া পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখাও জরুরি। সে কারণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ মিলবে এমন কম ক্যালোরির খাবার খেতে হবে। তালিকায় রাখা যেতে পারে লিন প্রোটিন বা ফ্যাট বিহীন প্রোটিন, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার।

খাবারে নজর: টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া, গোগ্রাসে খেয়ে উঠে যাওয়া বদ অভ্যাস। ওজন কমানোর পথেও এগুলি বাধা তৈরি করতে পারে। তাই কখন, কোন খাবার খাচ্ছেন সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। খেতে হবে ধীরে সুস্থে, চিবিয়ে। ঠিকমতো চিবিয়ে খেলে পাচকরস সঠিক ভাবে নির্গত হয়। এতে হজমের সমস্যা হয় না। খেতে হবে ক্যালোরি মেপে, পরিমিত।

তবে ব্যক্তি বিশেষের ডায়েট আলাদা হতে পারে। অনেকের প্রোটিন সহ্য হয় না। তাই শরীর বুঝে পুষ্টিবিদের মত নিয়ে খাবারের তালিকা সাজানো উচিত।

Advertisement
আরও পড়ুন