নিজের ফোনে ফাইভ জি চালু করার কৌশল কী? ছবি: সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন বড় শহরে ইতিমধ্যেই ফাইভ জি পরিষেবা শুরু করে দিয়েছে জিয়ো এবং এয়ারটেল। কিন্তু নিজের ফোনে কী ভাবে চালু করবেন এই পরিষেবা? বিভিন্ন ফোনের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা হলেও মোটামুটি বিষয়টি একই রকম।
আইফোনের ক্ষেত্রে নতুন আইওএস ১৬.২ আপডেট আসা শুরু হয়ে গিয়েছে, আইফোন ১২, ১৩ ও ১৪ সিরিজ়ের ফোনগুলিতে ফাইভ জি পরিষেবা পাওয়া যাবে।
ফোনে ফাইভ জি চালু করতে যে পথে যেতে হবে, সেটি এ রকম। সেটিংস-মোবাইল ডেটা-মোবাইল ডেটা অপশনস- ভয়েস অ্যান্ড ডেটা। এখানে গিয়ে যেখানে ফাইভ জি লেখা বিকল্পটি থাকবে, সেটি স্পর্শ করলেই ফোন এই পরিষেবা ব্যবহারের উপযুক্ত হয়ে যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে এক একটি মোবাইলে এক এক রকমের সেটিংস থাকলেও বিষয়টি মোটামুটি একই। সকলের আগে মাথায় রাখতে হবে, এই পরিষেবা পেতে গেলে ফোনটি ফাইভ জি ক্ষমতাসম্পন্ন হতে হবে। পরিষেবা পেতে সেটিংস-এ গিয়ে সিম ও নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত বিকল্পটি বেছে নিতে হবে। সেখানে যে সিমকার্ডে ফাইভ জি চালু করতে চান, সেই সিমটি বেছে নিতে হবে। তার পরই দেখতে পাবেন, কোন ধরনের নেটওয়ার্ক চাইছেন তার একটি তালিকা থাকবে। যদি আপনার ফোন ফাইভ জি ক্ষমতাসম্পন্ন হয়, তবে সেখানে থ্রি জি, ফোর জি-র মতো ফাইভ জি-র বিকল্পও থাকবে। ব্যস, ফাইভ জি বেছে নিলেই হল।
এয়ারটেলের ক্ষেত্রে আলাদা করে অন্য কিছু করতে হবে না। যদি আপনার শহরে ফাইভ জি এসে গিয়ে থাকে তবে শুধু ফোনের সেটিংস ঠিক করলেই আপনা থেকেই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
জিয়োর ক্ষেত্রে প্রথমেই খোঁজ নিতে হবে আপনার শহরে জিয়ো ফাইভ জি পরিষেবা আছে কি না। কোন কোন শহরে সংস্থার তরফ থেকে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, তার একটি তালিকা জিয়োর ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।
আপনার শহর যদি ওই তালিকায় থাকে, তবে এর পর আপনাকে প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে মাই জিয়ো অ্যাপ।
এই অ্যাপের প্রথম পাতাতেই ফাইভ জি পরিষেবা চালু করার জন্য একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকবে। সেই বিজ্ঞাপনে স্পর্শ করলেই ২৩৯ টাকার বিনিময় ফাইভ জি পরিষেবা শুরু করার সুযোগ পাবেন গ্রাহক। এখানে নিজের নাম নথিভুক্ত করলেই একটি বার্তা আসবে ফোন নম্বরে। এ বার ২৩৯ টাকা ভরলেই ফাইভ জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে আপনার ফোনে। পরিষেবা চালুর পর একই ভাবে সেটিংসে গিয়ে ফাইভ জি বিকল্পটি বেছে নিলেই কেল্লাফতে।