মেদ ঝরাতে গাল দুটো তুবড়ে মুখটা মাছের মতো করে রাখুন। ছবি: প্রতীকী
সৌন্দর্যের কোনও ধরাবাঁধা সংজ্ঞা নেই। আবার ব্যক্তিভেদে সবার পছন্দও মৌলিক। কেউ ভরাট মুখ পছন্দ করেন, কেউ আবার চান মুখের মেদ ঝরিয়ে ফেলতে। কখনও কখনও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার প্রভাবে মুখে মেদ সঞ্চিত হয়। বিশেষ করে অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার ও বেশি রাতে ঘুমনোর মতো অভ্যাস এই আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত মদ্যপান করলেও মুখের পেশির খাঁজে চর্বি জমার আশঙ্কা বাড়ে। আর তার জেরে বেশি বয়স্ক দেখায় অনেককে। যাঁরা এই মেদ পছন্দ করেন না তাঁদের ভরসা একমাত্র ব্যায়ামই। রইল তেমনই কয়েকটি ব্যায়ামের হদিস।
সিংহমুদ্রা
এই আসনটি করতে গেলে প্রথমে হাঁটু মুড়ে বসতে হবে। হাতের তালু রাখতে হবে ঊরুর উপরে। এ বার জিভ যতখানি সম্ভব বার করা যায়, তত দূর বার করুন। এই করতে করতে শ্বাস ছাড়ুন এবং মুখে আওয়াজ করতে থাকুন। সিংহের মতো আওয়াজ করতে বলা হয় বলে এর নাম সিংহমুদ্রা।
চিউইংগাম
ছোটবেলায় চিউইংগাম বেশি খেলেই বাবা-মা বকাঝকা করতেন। এখন কিন্তু অনেকেই বলেন চিউইংগাম চিবোলে মুখের বাড়তি মেদ ঝরে যায়। এতে গালের পেশির ব্যায়াম হবে। চোয়াল মেদহীন হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে অধিকাংশ চিউইংগামে প্রচুর চিনি থাকে, এমন চিউইংগাম চিবোলে ডায়াবিটিস সমস্যা বাড়তে পারে।
মাছের মতো মুখ
ভাবছেন মাছের মতো মুখটা আবার কী? এর বাজারচলতি নাম পাউট। অনেকেই এই ভঙ্গিতে নিজস্বী তুলতে পছন্দ করেন। মেদ ঝরাতে সেই ভাবেই গাল দুটো তুবড়ে মুখটা মাছের মতো করে রাখুন। এ বার এই ভঙ্গি ধরে রেখে মুখ প্রসারিত করে যতখানি হাসা যায়, হাসুন। দিনে ৭ থেকে ১০ বার এই ব্যায়ামটি করলে মুখে মেদ জমার হাত থেকে মুক্তি নিশ্চিত।
মুখ ধোয়ার পদ্ধতি
মুখ ধোয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করলেও মেদ ঝরতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে মুখে জল না নিয়ে বাতাসের সাহায্য নিতে হবে। যে ভাবে কুলকুচি করা হয়, সে ভাবে মুখের মধ্যে বাতাসকে এক কোণ থেকে অন্য কোণে নিয়ে যেতে হবে। ২০-৩০ সেকেন্ড টানা করুন। তার পরে বিশ্রাম নিয়ে আবার করুন।
প্রাণখোলা হাসি
সুন্দর হাসির জয় সর্বত্র। চিবুকের সুগঠিত ও নিখুঁত ভাব ফিরে পেতেও প্রাণ খোলা হাসির কোনও জুড়ি নেই। মুখ টিপে মাপা হাসি বা জোর করে হাসি নয়, মনের আনন্দে দিনে ৮–১০ বার হাসলে গলার মেদ কমবে।