Kitchen Essential

নতুন বাড়ির জন্য বাসন কিনবেন? কেনার আগে কী কী কথা মাথায় রাখা জরুরি?

নতুন বাড়ি সাজানোর সময়ে রান্নাঘরের কথা আলাদা করে মাথায় থাকে না অনেকেরই। কিন্তু হালফ্যাশনের ‘মডিউলার’ রান্নাঘরে আগুনে পোড়া বাসন ভাল লাগবে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:১২
সাদা ধবধবে, কাচের বাসনে খাওয়ার শখ, কিন্তু তেমন বাসনের যত্ন কী ভাবে নিতে হয় জানেন না।

সাদা ধবধবে, কাচের বাসনে খাওয়ার শখ, কিন্তু তেমন বাসনের যত্ন কী ভাবে নিতে হয় জানেন না। ছবি- সংগৃহীত

অন্দরসজ্জার সময়ে আমরা বাড়ির অন্যান্য অংশে যতটা গুরুত্ব দিই, ততটুকু বোধ হয় রান্নাঘরের বাসনপত্রের জন্য ভাবি না। অথচ খরচ করে হালফ্যাশনের সুযোগ-সুবিধাযুক্ত ছবির মতো সুন্দর হেঁশেলে পুরনো সেই রংচটা বাসন কি দেখতে ভাল লাগে? তাই রান্নাঘরের সঙ্গে মানিয়ে সাজিয়ে তুলতে হবে প্রতি দিনের ব্যবহার্য জিনিসগুলিও। সাদা ধবধবে, কাচের বাসনে খাওয়ার শখ, কিন্তু তেমন বাসনের যত্ন কী ভাবে নিতে হয় জানেন না। আবার চামচ ছাড়াও যে কত রকমের ‘কাটলারি’ আছে, সে সম্পর্কেও অনেকের ধারণা নেই। চিন্তা নেই! রান্নাঘরও সাজানো হবে, আবার প্রয়োজনেও লাগবে, এমন জিনিসের সুলুকসন্ধান রইল এখানে।

Advertisement

কাচের বাসন কেনার সময়ে কী মাথায় রাখবেন?

কাচের বাসনের ক্ষেত্রে ‘পোর্সেলিন’ হল সবচেয়ে ভাল। এই বস্তুটি অভেনের জন্যও নিরাপদ এবং তরল সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার যোগ্য। দামও সাধ্যের মধ্যেই। তবে ‘অভেন প্রুফ’ বলে একবারে খুব বেশি তাপমাত্রা না দেওয়াই ভাল।

কাচের বাসনের যত্ন

দাম যেমনই হোক, প্রতি দিন ব্যবহার করতে গেলে কাচের বাসনের যত্ন নিতেই হবে। যেমন খাওয়ার পর বেশি ক্ষণ থালা না ধুয়ে ফেলে রাখা যাবে না। ধোয়া সম্ভব না হলে অন্তত পক্ষে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। অভেনে খাবার গরম করার ক্ষেত্রে নিরাপদ হলেও কিছু বাসন রান্না করার জন্য নয়। শৌখিন কিছু কাচের বাসন ধোয়ার জন্য বাসন মাজার তরল সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। সে ক্ষেত্রে হাত ধোয়ার তরল সাবান ব্যবহার করতে পারেন।

কোন খাবারে ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে চামচের আকার এবং গড়ন।

কোন খাবারে ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে চামচের আকার এবং গড়ন। ছবি- সংগৃহীত

কত ধরনের ‘কাটলারি’ রাখতে পারেন?

খাওয়ার চামচ, কাঁটা চামচ এবং ছুরি— মোটামুটি খুঁজলে এই কয়েকটি জিনিস সব বাড়িতেই পাওয়া যায়। কিন্তু এই তিনটি ছাড়াও চামচেরই বিভিন্ন প্রকার থাকে। কোন খাবারে ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে চামচের আকার এবং গড়ন। যেমন খাবার দেওয়ার চামচ আর শেষ পাতে মিষ্টি খাওয়ার চামচ দেখতে কখনওই এক রকম হবে না। আবার ফল বা স্যালাড খাওয়ার কাঁটা এবং কবাব খাওয়ার কাঁটা দেখতেও আলাদা। তেমনই কেক কাটার ছুরি আর মাছের ফিলে কাটার ছুরির গড়নও এক হবে না। এ ছাড়াও চা-চামচ, পিৎজ়া কাটার, স্প্যাচুলার মতো ‘কাটলারি’ রাখা যেতেই পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement