পেঁয়াজের খোসার কামাল। ছবি: সংগৃহীত
বাড়িতে জমিয়ে খাসির মাংস রান্না হয়েছে, মশলা করতে দেওয়া হয়েছে দেদার পেঁয়াজ-রসুন। কিন্তু পেঁয়াজ কড়াইতে গেলেও পেঁয়াজের খোসার জায়গা হয় আবর্জনার স্তূপে। অথচ পেঁয়াজের খোসাও কিন্তু খুব একটা অবহেলার জিনিস নয়। উপায় জানা থাকলে এই পেঁয়াজের খোসা থেকেই মিলতে পারে হরেক উপকার।
১। যাঁরা পাকা চুলে কলপ করেন, তাঁরা বাজারজাত রঙের বদলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন পেঁয়াজের খোসা। একটি শুকনো লোহার কড়াইতে পেঁয়াজের খোসাগুলি নিয়ে মধ্যম আঁচে সেঁকতে থাকুন। একেবারে কালো হওয়া পর্যন্ত গরম করুন। ভাজা হয়ে এলে খোসা একেবারে গুঁড়ো করে নিন। এই গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ নারকেল তেল কিংবা অ্যালো ভেরার শাঁস মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কলপ।
২। ঘুমের সমস্যা নিরাময় করতেও অনেকে পেঁয়াজের খোসা ব্যবহার করেন। পেঁয়াজের খোসায় থাকে এল-ট্রিপটোফ্যান নামক এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই উপাদানটি অনিদ্রা কাটাতে সহায়তা করে বলে মনে করেন অনেকে। তাই সন্ধ্যাবেলা কয়েকটি পেঁয়াজের খোসা গরম জলে ফুটিয়ে তা চায়ের মতো করে পান করতে পারেন। এই পানীয়তে গাঁটের ব্যথাতেও আরাম মিলতে পারে। তবে যে কোনও খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।
৩। সার হিসাবেও দারুণ কার্যকর পেঁয়াজের খোসা। সরাসরি গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে দিতে পারেন পেঁয়াজের খোসা। তা ছাড়াও অনেক সময়ে ছাদ-বাগানের গাছের মধ্যে পোকা ধরে যায়। এই ধরনের পোকা গাছের পাতাগুলিকে খেয়ে নেয়। এর ফলস্বরূপ দ্রুত গাছের পাতা শুকিয়ে যায় বা মরে যায়। পেঁয়াজের খোসা গুঁড়ো করে, তার সঙ্গে কিছুটা জল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে পোকা লাগা পাতায় স্প্রে করতে পারেন।