পিটুনিয়ার জন্য একটু প্রশস্ত জায়গা দরকার। ছবি: সংগৃহীত
শীতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ফুলগাছ লাগান বাড়িতে। বড় বাগান করার জায়গা না থাকলেও এক চিলতে ঝুলবারান্দায় ছোট ছোট টবে নানা বাহারি ফুলগাছের চারা পোঁতেন। বাঙালির পছন্দের ফুলগাছের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে পিটুনিয়া আর গোলাপ। কিন্তু ফুলের শখ থাকলেই তো আর হল না, গাছের যত্নও নেওয়া চাই। নয়তো বেশি দিন টিকবে না গাছ, রূপও খোলতাই হবে না।
পিটুনিয়া
পিটুনিয়ার জন্য একটু প্রশস্ত জায়গা দরকার। তাই সাধারণ টবের বদলে চালি টবে এই গাছ লাগাতে হয়। ছাদে প্লাস্টিক পেতে ভাল করে মাটি শুকিয়ে নিন। তার পর মাটির সঙ্গে গোবর সার কিংবা নিমখোল মিশিয়ে নিন। ঝুরঝুরে মাটি টবে দিয়ে তাতে চারা পুঁততে হবে।
গাছ বসানোর পর দিন দশেক ছায়ায় রাখুন চারাগুলিকে। জল দিয়ে দেখুন গাছ কতটা জল টানছে। এক দিন জল দেওয়ার পর মাটি ভিজে থাকলে পরদিন আর জল দেবেন না। তবে ছায়া মানে কিন্তু অন্ধকার নয়, সরাসরি রোদ যেন না লাগে।
দিন দশেক পর গাছ বাইরে বার করুন। পিটুনিয়ায় খোলের পাতলা জল দিলে গাছ খুব ভাল বাড়ে। সাত-দশ দিনের পচানো খোলের জল অল্প অল্প করে গাছের গোড়ায় দিন। তবে খোলের পরিমাণ যেন বেশি না হয়। নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা মাটি বুঝে জল দিলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকে যাবে গাছ।
গোলাপ
শীতকালে গোলাপের ফলন বাড়ে। বাড়ে রূপের জেল্লাও। গোলাপ গাছের আবার বেশি রোদ প্রয়োজন হয়। ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির টব গোলাপচারা লাগানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। যদি একটি বড় চারা কেনেন, তবে খেয়াল রাখবেন যেন একটি ডালে ৫টির বেশি পাতা না থাকে। ৭টি পাতা হয়ে গেলেই আর ফুল ধরে না গাছে।
একটি ডালে ফুল হয়ে গেলে সেই ডাল কিছুটা কেটে দিলে, সেখানে আবার নতুন ডাল জন্মায়। তাতে আবার ফুল ধরে। গোলাপ গাছ ভাল রাখতে চায়ের পাতা খুবই কার্যকর। চা হয়ে যাওয়ার পর ভেজা পাতা গাছের গোড়ায় দিয়ে দিতে পারে। তবে গাছের গোড়ায় যেন আগাছা না জন্মায়।
সার দিতে হলে গাছের গোড়ায় মাটি একটু খুঁচিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হয়। রাসায়নিক সার না দিতে চাইলে গোবর, খোল ও শুকনো চা পাতার মিশ্রণও দিতে পারেন।