— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দেওয়ালের প্লাস্টার থেকে শুরু করে সোফার তলায় থাকা ফোম, কাঠের চেয়ারের হাতলে থাকা রঙের পরত। বছর তিনেকের শিশুকন্যা উইন্টারের পছন্দের খাবার বলতে এই। মাটিতে বা হাতের নাগালে থাকা যে কোনও জিনিস তুলে মুখে দেওয়া ছোট শিশুদের স্বভাব। তাই বলে এমন অখাদ্য যে কারও প্রিয় খাবার হতে পারে, তা ওই শিশুকন্যাটির মা কল্পনাও করতে পারেননি।
ওয়েল্সের ব্ল্যাকউডের বাসিন্দা, বছর ২৫-এর তরুণী স্টেসি এহেরনের কন্যা উইন্টার অটিজ়মে আক্রান্ত। এক সাক্ষাৎকারে স্টেসি বলেন, “আমার মেয়ে বোধ হয় এ বার গোটা বাড়িটাই খেয়ে ফেলবে। কিছু দিন আগেই আমি নতুন একটি সোফা কিনে এনেছি। ইতিমধ্যেই আমার মেয়ে সেখান থেকে এক খাবলা স্পঞ্জ তুলে খেয়ে ফেলেছে। ফটোফ্রেমের কাচ খেতেও বাকি রাখেনি।” আর পাঁচটা সাধারণ শিশুর থেকে উইন্টার এমনিতেই আলাদা। কারণ, সে অটিজ়মের শিকার। তার উপর উইন্টারের বয়স যখন ১৩, তখন থেকেই সে এমন বিরল রোগে আক্রান্ত। তাই স্টেসির কাজ সারা দিন নিজের মেয়েকে চোখে চোখে রাখা।
এক রাতে ঘরের মধ্যে হঠাৎ কিছু শব্দ শুনে স্টেসির ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন, মেয়ে তার শোয়ার আলাদা বিছানা বা কাঠের দোলনার একপাশ চিবোতে শুরু করেছে। পরের দিনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উইন্টারের চিকিৎসক জানান, সে 'পিকা' নামক একটি রোগে আক্রান্ত। অটিজ়মে আক্রান্তদের মধ্যে ‘পিকা’ খুবই সাধারণ বিষয়। এই রোগ হলে সাধারণত যে জিনিসগুলি খাবার কথা নয়, তেমন জিনিস খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। আবার, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক শিশুর এই অভ্যাসে বদল আসে। তবে, উইন্টারের ক্ষেত্রে তেমনটা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।