চাঁদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের সুযোগ অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে এই পোশাক। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৭২ সালে শেষ বার চাঁদে পাড়ি রেখেছিল মহাকাশচারীরা। তার পর কেটে গিয়েছে পঞ্চাশটা বছর। আবার চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে নাসা। কোন পোশাক পরে চাঁদে পাড়ি দেবে মহাকাশচারীরা, সম্প্রতি তার ঝলক দেখাল নাসা। অ্যাক্সিওম স্পেস নামক একটি সংস্থা মহাকাশচারীদের চাঁদে যাওয়ার জন্য যে পোশাক তৈরি করেছে, তা পরে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে মহাকাশচারীরা, এমনই দাবি করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
সংস্থার তরফে আসল পোশাকটির ঝলক দেখানো হয়েছে বটে তবে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের জন্য ভিন্ন রঙের পোশাক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা। চাঁদে দীর্ঘ সময় কী ভাবে কাটানো যায় সেই পরীক্ষা করতেই আর্টিমিস ৩ মিশন নিয়ে এ বার চাঁদে পাড়ি দেবেন মহাকাশচারীরা। নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘অ্যাক্সিওমের পরবর্তী প্রজন্মের স্পেসস্যুটগুলি শুধুমাত্র মহিলাদের চাঁদে হাঁটতে সাহায্যের জন্যেই নয়, চাঁদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের সুযোগ অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে এই পোশাক।’’
স্পেসস্যুটগুলির নাম দেওয়া হয়ছে অ্যাক্সিওম একস্ট্রাভেহকুলার মোবিলিটি ইউনিট বা এক্সিমু। নাসার এই নতুন মিশনের জন্য কেবল স্পেসস্যুট নয়, নাসার তরফে মহাকাশচারীদের চাঁদে হাঁটার জন্য বিশেষ ওয়াকারেরও বরাত দেওয়া হয়েছে অ্যাক্সিওম স্পেসকে। সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘‘মহাকাশচারীরা যাতে দীর্ঘ সময় চাঁদের মাটিতে থাকতে পারেন, তার জন্য পোশাক বানানোর ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। চাঁদের মাটিতে উচ্চ তাপমাত্রার হাত থেকে মহাকাশচারীদের রক্ষা করার জন্য তাঁদের পোশাক সাদা রঙের করা হত, যাতে সেই পোশাক তাপ প্রতিফলন করতে পারে। তবে নতুন পোশাকের নকশায় পোশাকের উপরের স্তরটি এমন করে তৈরি করা হয়েছে যাতে পোশাকের রং যা-ই হোক না কেন, তা তাপ প্রতিফলন করতে পারবে।’’ এক সাংবাদিক বৈঠকে অ্যাক্সিওম স্পেসের এক কর্মীকে সেই পোশাক পরিয়ে পোশাকের স্বাচ্ছন্দ্য কতখানি, তা দেখানো হয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পোশাকের রং পরে পরিবর্তিত হতে পারে।